Sandeshkhali Incident

‘থানার ইট খুলে কৃষ্ণের মন্দির বানাব’! সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশকে হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতার

রবিবার বনগাঁর বাটার মোড়ে যশোর রোড অবরোধ করে বিজেপির যুব মোর্চা। সেখানেই পুলিশের উদ্দেশে এই হুঁশিয়ারি দেন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি। মিনিট ৪৫ অবরোধ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে তাঁরা চলে যান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৯
Share:

যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি বিজেপি যুব মোর্চার। — নিজস্ব চিত্র।

কাজ করছে না ‘দলদাস’ পুলিশ-প্রশাসন। প্রয়োজন নেই থানার। তাই, থানার ইট খুলে মন্দির বানানোর হুঁশিয়ারি দিল বিজেপি। রবিবার সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে উত্তর ২৪ পরগনার বাটার মোড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। সেখানেই থানার ইট খুলে মন্দির বানানোর কথা ঘোষণা করেন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি রাজীব রায়।

Advertisement

গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে তৃণমূলের নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে মারমুখী অনুগামীদের তাড়ায় পালিয়ে বাঁচতে হয় ইডিকে। তার পর থেকেই বেপাত্তা শাহজাহান। কিন্তু সন্দেশখালির উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে গত কয়েক দিন ধরে। এ বার গ্রামবাসীদের নিশানায় শাহজাহান, তাঁর ডান হাত শিবু হাজরা এবং বাঁ হাত বলে পরিচিত উত্তম সর্দার। পথে নেমে ওই নেতাদের সম্পত্তি ভাঙচুর করে, আগুন ধরিয়ে তাঁদের গ্রেফতারির দাবি করতে থাকেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। শেষ পর্যন্ত শনিবার উত্তমকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করে তৃণমূল। সে দিনই উত্তমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তাতে খুশি নন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, শাহজাহান, শিবু হাজরাদেরও গ্রেফতারির। যদিও তাঁরা এখনও অধরা। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বিজেপির স্থানীয় নেতা বিকাশ সিংহকে। তারই প্রেক্ষিতে সন্দেশখালির বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের পক্ষ নিয়ে রবিবার পথে নামে বনগাঁ বিজেপি।

রবিবার বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে বাটার মোড়ে যশোর রোড অবরোধ করা হয়। এর ফলে থমকে যায় যানচলাচল। পুলিশের সঙ্গেও বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি সমর্থকেরা। তার পরেই পুলিশকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন রাজীব। বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে বর্বরতা চলছে। আমরা কি ২০২৪ সালে বাস করছি? ভারত যেখানে বিশ্বগুরু হয়ে দুনিয়াকে পথ দেখাচ্ছে সেখানে তৃণমূলের পার্টি অফিসে মহিলাদের নির্যাতন করা হচ্ছে! কোন রাজ্যে বাস করছি? এতে সম্পূর্ণ মদত আছে পুলিশ-প্রশাসনের। তাই পুলিশ-প্রশাসনকে বলা, তারা যদি আগামিদিনে পদক্ষেপ না করে, তা হলে যুব মোর্চাই পদক্ষেপ করবে এবং থানা থেকে ইট খুলে নিয়ে এসে আমরা শ্রীকৃষ্ণের মন্দির বানাব।’’

Advertisement

যুব মোর্চার সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল প্রমুখ। বেলা ১২টা থেকে যশোর রোড অবরোধ কর্মসূচি চলে মিনিট ৪৫। তার পর পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement