অসুস্থ সুকান্ত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুয়ে পড়েন মাটিতে। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে তিনি মাটিতে পড়ে থাকেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে।
সন্দেশখালিকাণ্ডে মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিজেপির সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে রাতভর ধর্না দেন সুকান্ত। রাতে তাঁকে আটক করার কিছু ক্ষণ পর ছেড়েও দেয় পুলিশ। বুধবার সকাল হতেই আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সুকান্তের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, তিনি সন্দেশখালি যাবেনই। অন্য দিকে, পুলিশ জানায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই অনুমতি মিলবে না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন সুকান্ত। কিছু ক্ষণের মধ্যেই পড়ে যান। দেখা যায়, মুখ ঢাকা এক মহিলা হাত ধরে গাড়ির বনেট থেকে সুকান্তকে নামানোর চেষ্টা করেন। তার মধ্যেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি। খানিক ক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অসুস্থ সুকান্তকে তড়িঘড়ি গাড়িতে তোলা হয়। তাঁকে নিয়ে বসিরহাটের হাসপাতালের দিকে রওনা দেয় গাড়িটি।
বসিরহাটের এসপি অফিস অভিযানের পর মঙ্গলবার রাতে টাকির একটি হোটেলে ছিলেন সুকান্ত। বুধবার সকালে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল সন্দেশখালি। তার মধ্যে সন্দেশখালির ১৯ জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি হয়। সেই প্রেক্ষিতেই প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছিল, সুকান্ত হোটেলে সরস্বতী পুজো করবেন। তার পর রওনা দেবেন সন্দেশখালি। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় বদল আনার কথা জানানো হয় হোটেলে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের তরফে। জানানো হয়, সরস্বতী প্রতিমা সঙ্গে করেই সন্দেশখালির দিকে রওনা দেবেন রাজ্য সভাপতি। পুলিশ যদি মাঝপথে তাঁদের আটকে দেয়, যেখানে আটকানো হবে, সেখানেই সরস্বতী পুজো শুরু করবেন তাঁরা। কিন্তু ঘটনাচক্রে দেখা গেল, সেই পরিকল্পনাও বদলে ফেললেন সুকান্ত।
এর পর বুধবার দুপুরে টাকির হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে একটি সরস্বতী প্রতিমা কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসেন সুকান্ত। পরে ইছামতীর ঘাটে প্রতিমা বসিয়ে পুজো শুরু হয়। তার পর সন্দেশখালি যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।