—প্রতীকী চিত্র।
বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে বনগাঁ মহকুমায় ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তৃণমূল। শুধুমাত্র স্থানীয় নেতৃত্বের উপরে ভরসা না রেখে ইতিমধ্যেই দলের ‘হেভিওয়েট’ নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের এখানকার পঞ্চায়েতভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বার বিজেপিও আসনটি ধরে রাখতে দলের চার বিধায়ককে বাগদায় দলের চার মণ্ডল কমিটির নির্বাচন পরিচালনার ‘ইনচার্জ’ করল।
বিজেপি সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ওই সিদ্ধান্ত নেন। বাগদায় দলের মণ্ডল ১-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নদিয়ার চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষকে। মণ্ডল ২-এর দায়িত্ব পেয়েছেন হুগলির পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ। মণ্ডল ৩-এর দায়িত্বে খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক এবং মণ্ডল ৪-এ দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপকুমার সাহা। এ ছাড়া বাগদা বিধানসভার যুগ্ম ‘ইনচার্জ’ করা হয়েছে বিজেপির রাজ্য কার্যকরী কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং অনল বিশ্বাসকে।
বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘দলের নিয়ম মেনে বিধায়কদের দায়িত্ব দেওয়ার ফলে কর্মীরা আরও উজ্জীবিত হবেন। বৃহস্পতিবার আমাদের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তিনি বাগদায় প্রচার শুরু করবেন।’’
তবে, গেরুয়া শিবিরের অনেকেই মনে করছেন, মণ্ডল ইনচার্জ এবং বিধানসভা ইনচার্জদের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে প্রার্থী নিয়ে বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ। ‘ভূমিপুত্র’ নন বলে বিজেপি প্রার্থী বিনয়কুমার বিশ্বাসকে (গোপালনগরের বাসিন্দা) মানতে চাইছেন না এই বিধানসভার দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ। তাঁরা ইতিমধ্যেই সত্যজিৎ মজুমদার নামে একজনকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোর কথা ঘোষণা করেছে। দলের বাগদা ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি স্বপনকুমার বিশ্বাস তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির কাছে। বিজেপির একটি সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, বাগদায় দলের একাংশের ক্ষোভ প্রশমিত করার কাজ শুরু হয়েছে।
বিজেপির বিধায়কদের দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘বাগদায় বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিধায়কদের নিয়ে এসেও ঠেকানো যাবে না। তাঁরা গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার। বাগদায় তৃণমূলের জয় সময়ের অপেক্ষা।’’