প্রতীকী ছবি।
পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল মাটিয়া থানার পুলিশ। শ্রীনগর মাটিয়া পঞ্চায়েতের চাঁদনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা ধৃতের নাম রামপ্রসাদ সাঁপুই। তিনি এলাকায় বিজেপি নেতা বলে পরিচিত। তাঁর স্ত্রী এক সময়ে শ্রীনগর মাটিয়া পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ রামপ্রসাদকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ মাস আগে চাঁদনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার রামপ্রসাদ সাঁপুইয়ের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ নেন বছর বাহান্নর মহিলা। তাঁর অভিযোগ, সপ্তাহ দু’য়েক আগে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রামপ্রসাদ তাঁকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নিগ্রহ করে। প্রতিবাদ করলে কুপ্রস্তাব দেন। একদিন মারধরের হুমকি দিয়ে ধর্ষণও করেন। ভয়ে ঘটনার কথা কাউকে বলতে পারেননি বলে দাবি মহিলার। সেই সুযোগে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে মহিলার অভিযোগ।
পুলিশের কাছে করা লিখিত অভিযোগে ওই মহিলার দাবি, এক দিন আগে বিকেলে একই ভাবে ভয় দেখিয়ে জোর করে ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধর করে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার কথা কাউকে বললে খুনের হুমকিও দেন রামপ্রসাদ।
কিন্তু এ বার মমুখ খোলেন মহিলা। বুধবার সকালে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে অত্যাচারের কথা বলেন। মাটিয়া থানাতেও লিখিত অভিযোগ জানান। পুলিশ গ্রেফতার করে বছর পঞ্চান্নর রামপ্রসাদকে।
তাঁর অবশ্য দাবি, ‘‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। মিথ্যা অভিযোগে মহিলাকে ব্যবহার করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’
এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা প্রেমেন্দ্র মল্লিক বলেন, ‘‘বিজেপির প্রাক্তন সদস্যের স্বামী রামপ্রসাদ বিজেপির ব্লক নেতা। একজন অসহায় মহিলার উপরে শারীরিক নির্যাতন মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশকে বলা হয়েছে, তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি তারক ঘোষের অবশ্য দাবি, ‘‘তৃণমূলের লোকজন পরিকল্পনা করে ওঁকে ফাঁসিয়েছে। মানসিক ভাবে অসুস্থ এক মহিলাকে দিয়ে রামপ্রসাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই করা হয়েছে।’’