ভাঙচুরের-পর: হাবড়ায়। নিজস্ব চিত্র
বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবি তুলে দলের একাংশের ধর্না কর্মসূচিকে ঘিরে মারপিট বাধল দু’পক্ষের। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। ওই কর্মসূচির জন্য মাইক, বক্স, চেয়ার ভাড়া করে নিয়ে আসেন কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। অভিযোগ, কর্মসূচি শুরু হতেই একদল লোক এসে হামলা চালায়। চেয়ার, ডেকরেটরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়।
দু’পক্ষের মারপিটে জখম হয়েছেন অনেকে। কয়েকজনকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। কর্মসূচি ভণ্ডুল হয়ে যায়। মহিলারাও আহত হয়েছেন। ধর্না কর্মসূচির আয়োজকদের তরফে কার্তিক বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা সকলে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার পুরনো কর্মী-সমর্থক। তৃণমূল থেকে লোকজন বিজেপিতে এসে আমাদের কাজকর্ম করতে দিচ্ছে না। জেলা সভাপতি তাঁদের মদত দিচ্ছেন। তিনি পুরনো কর্মীদের আক্রমণ করছেন। সম্মান দিচ্ছেন না। ওঁর গুন্ডা বাহিনী আজ আমাদের উপরে হামলা করেছে। আমরা ওঁর অপসারণ চাই।’’
বিজেপির এই অংশের বক্তব্য, ‘‘দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়ে সমস্যার সুরাহা হয়নি।’’ কয়েক দিন আগে গাইঘাটার ঠাকুরনগরেও বিজেপির একাংশ জেলা সভাপতির অপসারণ চেয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন। এ দিনের হাবড়ার ঘটনা নিয়ে শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘আমরা বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা এখন দলের সেবাসপ্তাহ কর্মসূচি পালন নিয়ে ব্যস্ত। বিজেপি কর্মী হলে তাঁরা ওই কর্মসূচিতে যাবেন কেন? মারধরের ঘটনায় আমি যুক্ত নই। টাকা খেয়ে ওঁরা এ সব করছেন।’’অন্য দিকে, মঙ্গলবার রাতে গোপালনগরের পানপাড়া এলাকায় বিজেপির গোপালনগর ১ মণ্ডল সভাপতি বিদেশ দাসকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে।
দলীয় বৈঠক শেষে তিনি গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, গাড়ি আটকে তাঁকে লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে মারধর করা হয়। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই নেতাকে। দু’পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর বলেন, ‘‘দল থেকে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা এই হামলা করেছে তৃণমূলের মদতে।’’ এ বিষয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘তৃণমূল ওই ঘটনায় কোনও ভাবে জড়িত নয়। বিজেপির দলীয় কোন্দলের জেরে ওই ঘটনা। নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে লড়াই চলছে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর।’’