নজরদারি: ঘুম এসেছে চোখে। পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই পাতা হল বিছানা। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত দফতরে তালা লাগিয়ে সদস্য-সহ কর্মীদের রাতভর আটকে রাখার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। পাথরপ্রতিমার অচিন্ত্যনগর পঞ্চায়েতের ঘটনা।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চায়েত দফতরে কাজ করছিলেন কয়েকজন কর্মী। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও পঞ্চায়েতের কাজকর্ম চলায় দফতরের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান কয়েকজন। গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। রাতভর আটকে থাকার পরে শুক্রবার সকালে স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এসে পঞ্চায়েতের গেট খুলে দেন।
এ দিকে, সকাল থেকেই পঞ্চায়েতের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তৃণমুল পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, অফিস ছুটির পরে রাতে পঞ্চায়েত দফতরে দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট করা হচ্ছিল। তা দেখে গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। কয়েকদিন আগে পঞ্চায়েতের কিছু ফাইল ট্রাঙ্কে ভর্তি করে পাচার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপির।
দলের মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার মৎস্যজীবী সেলের সহ-আহ্বায়ক পলাশ রানা বলেন, “গভীর রাতে পঞ্চায়েতে আলো জ্বলতে দেখে স্থানীয় লোকজন জড়ো হন। পরে জানা যায়, দুর্নীতির প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছেন পঞ্চায়েতের আধিকারিকেরা। এলাকার লোকজনই প্রশাসনকে খবর দিয়ে পঞ্চায়েতে তালা লাগিয়ে দেয়। সকালে তৃণমূলের লোকজন এসে তালা খুলে দিতে পঞ্চায়েতের কর্মীরা চলে যান।”
পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপনকুমার শিট বলেন, “অডিটের কাজ চলছে। যার জেরে প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তলব করা হচ্ছে বিডিও অফিস থেকে। বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়া হয়। সে কারণেই রাতে পঞ্চায়েত খুলে নথি খোঁজার কাজ হচ্ছিল। সে সময়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবক বাধা দেয়। আমাদের আটকে রাখে।”
পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানা বলেন, “বিরোধীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পঞ্চায়েতে অডিট চলছে। প্রধান অসুস্থ থাকায় তাঁর সম্মতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছিল। বিজেপি প্রশাসনকে বা কোথাও কিছু না জানিয়ে অহেতুক ঝামেলা করে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করছে।”