Barrackpore Police

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অফিস ঘেরাও বিজেপির, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ধুন্ধুমার!

পরে বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনী পাত্র-সহ গেরুয়া দলের মোট পাঁচ প্রতিনিধি ডিসি (হেড কোয়ার্টার) অজয় প্রসাদের হাতে ডেপুটেশন জমা দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৩ ২০:৪৫
Share:

ব্যারাকপুরে পুলিশ কমিশনারের অফিসেের সামনে পুলিশ ও বিজেপির সংঘর্ষ। —নিজস্ব চিত্র।

ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ডাকাতি এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশ কমিশনারের অফিস ঘেরাও করল বিজেপি। সোমবার সেই অভিযানকে ঘিরে বিজেপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়াল পুলিশ। প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তারা নালিশ করবে বলে জানায় বিজেপি।

Advertisement

সোমবার বিকেলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়ার অফিস ঘেরাও করে বিজেপি। পুলিশ ব্যারিকেড করে। সেই বাধা এড়িয়ে বিজেপি নেতাকর্মীরা এগোতে গেলে ধাক্কাধাক্কি হয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। শুরু হয় অশান্তি।

শেষমেশ বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনী পাত্র, বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ গেরুয়া দলের মোট ৫ প্রতিনিধি ডিসি (হেড কোয়ার্টার) অজয় প্রসাদের হাতে ডেপুটেশন জমা দেন। ফাল্গুনী অভিযোগ করেন, ‘‘এখানে পুলিশ নিষ্ক্রিয়। ডাকাতির ঘটনার পর আমরা সিপির সঙ্গে দেখা করতে চাই। কিন্তু তিনি দেখা করেননি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘পুলিশ সক্রিয় না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে বিজেপি। ব্যারাকপুরের ঘটনা আমরা রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাব।’’

Advertisement

গত বুধবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতের গুলিতে মৃত্যু হয় সোনার দোকানের মালিকের পুত্র নীলাদ্রি সিংহের। ভরসন্ধ্যায় জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। এই ঘটনার পর রাজনৈতিক চাপান-উতোর তীব্র হয়, যখন এলাকার সাংসদ অর্জুন সিংহ আঙুল তোলেন পুলিশের দিকে। এই ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তবে সাংসদের অভিযোগ, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ ধারাবাহিক ভাবে চলছে। কিন্তু পুলিশ তাদের আটকাতে ব্যর্থ। অর্জুনের অভিযোগ নিয়ে শাসকদলের অন্দরে চাপান-উতোর শুরু হয়। কারণ, অর্জুন খাতায়-কলমে বিজেপি সাংসদ হলেও এখন তিনি রয়েছেন তৃণমূলে। এই তরজার মধ্যে বিজেপির এই বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘‘আসল অপরাধীর জায়গায় অন্য কেউ ধরা পড়বে কি না সেটাই সন্দেহে। কারণ, আসল অপরাধীদের পুলিশ আড়াল করছে কি না, সেটাও দেখার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement