Swastha Sathi

Swastha Sathi: শয্যায় রোগী, নার্সিংহোমেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড

ভাঙড়ের ঘটকপুকুরের একটি নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচারের জন্য ৪৬ হাজার টাকা চাওয়া হয়। টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে, বুঝতে পারছিলেন না পরিবারের লোকজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড়  শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:২২
Share:

ব্যবস্থা: মিলল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। ছবি: সামসুল হুদা।

পথ দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তির জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করে দিলেন বিডিও।

Advertisement

বাজার থেকে রিকশায় বাড়ি ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যায় ভাঙড় ২ ব্লকের চড়িশ্বর গ্রামের বাসিন্দা রশিদ তরফদারের। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার কোঁড়লবেড়িয়ার কাছে।

পরিবারের দাবি, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও বেড খালি না থাকায় তিনি ভর্তি হতে পারেননি। এ দিকে, বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই তাঁদের।

Advertisement

ভাঙড়ের ঘটকপুকুরের একটি নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচারের জন্য ৪৬ হাজার টাকা চাওয়া হয়। টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে, বুঝতে পারছিলেন না পরিবারের লোকজন। এ দিকে, ভাঙা পা নিয়ে যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন বৃদ্ধ।

সোমবার ঘটকপুকুরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় রশিদকে। দ্রুত অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদন করার জন্য রশিদের পরিবারের লোকজন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ মোমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর পরামর্শে রশিদের ছেলে রেজাউল তরফদার ও পুত্রবধূ মাসুদা খাতুন সোমবার ভাঙড় ২ ব্লক অফিসে বিডিওর কাছে যান।

পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় কাশীপুর থানার ওসি প্রদীপ পালকে সঙ্গে নিয়ে রাতেই ওই নার্সিংহোমে যান। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে রোগী-ভর্তির ব্যবস্থা করেন। তারপরেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করার জন্য গাড়ি পাঠিয়ে দফতরের এক কর্মীকে ডেকে পাঠান নার্সিংহোমে। কম্পিউটার এবং অন্যান্য সরঞ্জামও আনা হয়। সেখানে বসেই পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়া হয়।

বৃদ্ধের ছেলে রেজাউল বলেন, ‘‘বিডিও যে ভাবে নার্সিংহোমে এসে বাবাকে ভর্তি করার ব্যবস্থা করলেন, যে ভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে দিলেন, তাতে আমরা অভিভূত।’’

মোমিনুল বলেন, ‘‘পরিবারটি খুবই গরিব। যখন শুনলাম, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকায় চিকিৎসা হচ্ছে না, তখন বিডিওকে জানাই।’’ বিডিও কার্তিকচন্দ্রের কথায়, ‘‘এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে পেরে ভাল লাগছে।’’

ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রায় ১৭ হাজার আবেদন জমা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের। ধাপে ধাপে কাজ চলছে। তবে রশিদের ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজন থাকায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement