বসিরহাট মহকুমা হাসপাতাল। এখানেই আনা হয়েছে ভেন্টিলেটর
কোভিড হাসপাতাল পেল না ভেন্টিলেটর। আবার ভেন্টিলেটর যেখানে এল, সেখানে এখনও যন্ত্র চালানোর মতো টেকনিশিয়ান, ডাক্তার, নার্স নেই।
বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা দামী ভেন্টিলেটর দু’টি। কিন্তু কবে সেই যন্ত্র চালানোর মতো পরিষেবা মিলবে, তার উত্তর নেই স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। আবার বসিরহাট মহকুমার একমাত্র কোভিড হাসপাতাল গোপালপুরে ভেন্টিলেটর বসানোর ব্যবস্থা এখনও হয়ে উঠল না। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বসানো দু’টি ভেন্টিলেটর চালানোর মতো চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান, নার্স নিয়োগের চেষ্টা চলছে।’’ তিনি জানান, স্বাস্থ্যজেলায় কোভিড রোগীদের জন্য ১০টি বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সও চাওয়া হয়েছে। তবে এই সূত্রেই বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় আর একটি কোভিড হাসপাতাল চালুর দাবিও উঠছে নতুন করে। কংগ্রেস এবং বামেরা ইতিমধ্যেই এ নিয়ে আন্দোলন করেছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিক।
বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে শুক্রবার থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে কোভিড পজ়িটিভ কিনা তা জানার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এমনিতে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে পেতে দু’তিন দিন লেগে যাচ্ছে। নতুন পদ্ধতিতে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কোভিড পজ়িটিভ কিনা, তা জানা যাবে।