—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সন্দেশখালির দুই বিজেপি কর্মীকে কেন গ্রেফতার করা হল, জানতে চাইল বসিরহাট মহকুমা আদালত। সেই সঙ্গে ধৃত দুই বিজেপি কর্মীকে ১০০ টাকার ‘পেয়ার বন্ড’-এ জামিন দিল আদালত।
ভোটের দিন বসিরহাট লোকসভার সন্দেশখালির বয়ারমারিতে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ এবং বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। সন্দেশখালি থানার এসআই সাগির গাজিকে আক্রমণের অভিযোগে সব মিলিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ি এলাকা থেকে নুনকু পাইক এবং ভাস্কর হাজরা নামে দু’জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাঁরা বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। নিজেদের নির্দোষ দাবি করে হাই কোর্টে গিয়েছিলেন দু’জন। আদালত ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ওই দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শুক্রবার ন্যাজাট থানার ওই মামলা বসিরহাট মহকুমা আদালতে ওঠে। দুই পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাবের মধ্যেই বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়েন ন্যাজাট থানার ওসি শুভাশিস প্রামাণিক এবং এসআই রাজেশ হালদার। কেন তাঁরা ন্যাজাট থানার পুলিশ হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করলেন, তার জবাব চান বিচারক।
দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পরে ধৃতদের জামিন মঞ্জুরের পাশাপাশি কী কারণে হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করলেন ওসি, তার কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য জেলার পুলিশ সুপারকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন বিচারক। ওই সময়ের মধ্যে তাঁকে গোটা ঘটনার বিবরণ এবং ব্যাখ্যা দিতে হবে আদালতে। শুধু তাই নয়, আদালত সূত্রে খবর, ন্যাজাট থানার ওসি শুভাশিসকে আগামী তিন দিনের মধ্যে ওই ঘটনার বিবরণ লিখিত ভাবে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মহকুমা আদালত।