—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষীর পরিচয় দিয়ে জমি হাতানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
বাসন্তী থানার শিবগঞ্জ মৌজার শিবগঞ্জে নাহা ও সরকার পরিবারের প্রায় ১৮০ বিঘা জমি রয়েছে। ওই জমিতে ৭০-৮০ জন বর্গাচাষি আছেন। অভিযোগ, হাবিবুল্লা খাঁ নামে এক ব্যক্তি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী পরিচয় দিয়ে ওই জমি হাতানোর চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে অসীম সরকার নামে এক জমির মালিক সম্প্রতি বাসন্তী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘এমন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।’’
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, হাবিবুল্লা বারুইপুর থানার ধবধবির শেরপুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ, ২২ মার্চ হাবিবুল্লা ওই এলাকায় এসে নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষী পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘‘এই জমি আমার দাদু হাজি মহম্মদ ইসমাইলের। তাই এই জমি অবিলম্বে খালি করে দিতে হবে।’’ এই কথা বলে তিনি বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে বর্গাচাষিদের ভয় দেখিয়ে জমিতে চাষ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ।
বিষয়টি জানতে পেরে এক জমির মালিক অসীম সরকার এপ্রিল মাসের ৯ তারিখ বাসন্তী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তার পরেও হাবিবুল্লা বিভিন্ন ভাবে ওই বর্গাচাষিদের হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে বিষয়টি জমির মালিক ও বর্গাচাষিরা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ই-মেল করে জানান। ‘কাটমানি’ ফেরতের ব্যাপারে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের যে হেল্পলাইন নম্বর ও ই-মেল আইডি দেওয়া হয়েছে, সেখানেই বিষয়টি জানিয়েছেন বর্গাচাষিরা।
অসীম সরকার বলেন, ‘‘আমার বাবারা বহু বছর আগে এ দেশে চলে এসে হাজি মহম্মদ ইসমাইলের কাছ থেকে ওই জমি বিনিময় করে মালিকানা লাভ করেন। সেই থেকে আমাদের পরিবার ও আমার মামার পরিবার ওই জমি চাষবাস করছেন। আমাদের বর্গাচাষিরাও নায্য ফসল দিয়ে চাষাবাদ করছেন। এখন হাবিবুল্লা নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষীর পরিচয় দিয়ে আমাদের ওই জমি হাতানোর চেষ্টা করছেন।’’