ফাইল চিত্র
আরও ৮টি নতুন থানা পেতে চলেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। এখন এই কমিশনারেটে রয়েছে ১৫টি থানা। আরও ৮টি বাড়লে মোট থানার সংখ্যা হবে ২৩। বেলঘরিয়া থানা ভেঙে হচ্ছে কামারহাটি ও দক্ষিণেশ্বর থানা। দমদম থানা ভেঙে হচ্ছে নাগেরবাজার থানা।
টিটাগর থানার শিউলি ও মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে তৈরি হচ্ছে মোহনপুর থানা। জগদ্দল থানা এলাকার কাউগাছি ১ নম্বর ও কাউগাছি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন বাসুদেবপুর থানা। বীজপুর থানার গ্রামীণ অংশ কাঁপা চাকলা জেটিয়া ও পলাশি মাঝিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে তৈরি হচ্ছে জেটিয়া থানা। হালিশহর পুর এলাকা নিয়ে হবে নতুন হালিশহর থানা।
এছাড়াও নৈহাটি গ্রামীণ এলাকায় শিবদাসপুর ও মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৈরি হচ্ছে নতুন শিবদাসপুর থানা। ভাটপাড়া ও জগদ্দল রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার কথা ভেবে তৈরি হচ্ছে নতুন তিনটি পুলিশ আউটপোস্ট। একটা হচ্ছে বারুইপাড়ায়, একটা রুস্তম গুমটিতে। অপরটি হচ্ছে গোলঘর এলাকায়।
এছাড়া মেঘনা মড়লাগু আঁটপুর আউটপোস্টকে আর একটা পুলিশ ইউনিট হিসেবে দেখানো যায় কি না তারও চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। তিনি বলেন, ‘‘অপরাধ কমানোর জন্যই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের খোলনলচে বদলে ফেলা হচ্ছে। আগামী দিনে এই কমিশনারেটে ৪০ থেকে ৫০টি থানা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটে রয়েছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। তাই এক্সপ্রেসওয়েতে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার অন্তর একটা করে ট্রাফিক গার্ড তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। তাছাড়াও যে নতুন থানাগুলো তৈরি হবে তার অধিকাংশই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে করা হবে।’’