সজলের প্রচারে বিতর্ক। — নিজস্ব চিত্র।
কেন ভোট দেব আপনাদের? প্রচারে বেরিয়ে এই প্রশ্নের মুখে পড়ে মেজাজ হারালেন বরাহনগর উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। প্রকাশ্যেই ভোটারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন তর্কাতর্কিতে। পরে অবশ্য তর্ক হওয়ার কথা অস্বীকার করেন সজল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভোট চাইতে গিয়ে বিতর্কিত কথা বললে বরাহনগরের মানুষই তার প্রতিবাদ করবেন।
বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে উত্তর কলকাতা লোকসভা আসনের টিকিট পেয়েছেন তাপস রায়। তাঁর ছেড়ে যাওয়া বরাহনগরে ঘোষিত হয়েছে বিধানসভার উপনির্বাচন। ১ জুন সেখানে ভোট। তার আগে সব পক্ষই প্রচারে নেমে পড়েছে। মঙ্গলবার সকালে তেমনই প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী সজল। বরাহনগর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত পার্কে ভোটপ্রচার করছিলেন সজল। জনে জনে গিয়ে ভোট চাইছিলেন। সেই সময় এক মহিলার কাছে ভোট চাইতে যান বিজেপি প্রার্থী। সেই মহিলা তাঁকে বলেন, ‘‘আমি কেন আপনাকে ভোট দেব?’’ তাতে একটু থমকে যান সজল। তার পর ওই মহিলা বলতে থাকেন, ‘‘রাজ্য সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দেব।’’ এ কথা শুনে ওই মহিলা ভোটারকে পাল্টা প্রশ্ন করতে থাকেন বিজেপি প্রার্থী সজল। ক্রমশ প্রশ্নোত্তর পর্ব গড়ায় তর্কাতর্কিতে। তর্কাতর্কির সেই ছবি ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাতেও। পরে জানা যায়, ওই মহিলার নাম সমাপ্তি ধর, তিনি তৃণমূল করেন।
যদিও পরে তর্কাতর্কির কথা অস্বীকার করেন সজল। তিনি বলেন, ‘‘আমি তর্ক কিছুই করিনি। কেউ বক্তব্য রেখেছেন, আমি তার পাল্টা বক্তব্য রেখেছি মাত্র। আমরা আমাদের কথা বলেছি। উনি বলেছেন, দিদি লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছেন, আমি বলেছি, দিদি কেন জল দিচ্ছেন না? আমার সঙ্গে কারও তর্কবিতর্ক হওয়ার কোনও অবকাশই নেই। আমাকে কেউ প্রশ্ন করবে, আর আমি পালিয়ে যাব, এটা তো হতে পারে না। প্রশ্ন করেছেন, উত্তর দিয়েছি।’’ এ নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বরাহনগর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস কর বলেন, ‘‘সজল ঘোষ বিজেপির প্রার্থী হয়ে ভোট চাইছেন। তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু প্রচারের নাম করে তিনি বিতর্কিত কথা বলবেন, সেটা কে মেনে নেবে? সমাপ্তির প্রশ্নের কোনও উত্তর সজল দিতে পারেননি। তার বদলে তর্ক করেছেন।’’