ড্রোন উড়িয়ে সচেতনতার প্রচার। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
চলতি বছরেও ডেঙ্গির হাত থেকে রেহাই পায়নি উত্তর ২৪ পরগনা। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই কিছু ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিললেও এখনও বনগাঁ শহরের কেউ মশাবাহিত ওই রোগে আক্রান্ত হননি বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি। তা হলেও ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজে জমা জলের খোঁজে ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন ও অভিযানে জোর দিয়েছে পুরসভা। এ বার ওড়ানো হচ্ছে ড্রোনও।
শনিবার শহরের মানুষকে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করতে পুর-উদ্যোগে পদযাত্রা হল বনগাঁয়। উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান গোপাল শেঠ, অন্য কাউন্সিলররা, পুরসভার সাফাই এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা এবং বনগাঁ থানার আইসি শিবু ঘোষ। পদযাত্রা থেকে পথ চলতি মানুষ এবং গাড়িচালকদের কাছে লিফলেট বিলি করা হয়। শহরে ড্রোন উড়িয়ে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে এবং অন্যত্র জমে থাকা জমা জলের খোঁজ নেওয়াও শুরু হয়েছে। কারণ হিসেবে পুর কর্তৃপক্ষ জানান, অনেক সময়ই দেখা যায়, পুরসভার কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ডেঙ্গির সমীক্ষা করতে গেলেও তাঁদের ছাদে যেতে দেওয়া হয় না। ফলে, ছাদে জল জমে আছে কি না, তা পুরসভার কর্মীদের অজানা থেকে যায়।
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন কিছু বাড়ির ছাদে বৃষ্টির জমা জলের খোঁজ পাওয়া যায়। পুরসভার কর্মীরা সে সব বাড়িতে গিয়ে জমা জল নষ্ট করে দেন। ওই সব বাড়ির বাসিন্দাদের বোঝানো হয়, জলের ট্যাঙ্ক, চৌবাচ্চা, এয়ার কুলার এবং বাড়ির অন্যান্য জলধারের জল সপ্তাহে এক দিন খালি করে শুকিয়ে নিতে হবে। পোষ্যদের জল খাওয়ার পাত্র, ফেলে রাখা পুরনো টায়ার, ফুলের টব, ডিম ও ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত ব্যাটারির সেল, পিচের ড্রামে জল যাতে না জমে সে ব্যাপারেও প্রচারে সকলকে সতর্ক করা হয়। কারণ, জমা জলে ডেঙ্গির মশা বংশবৃদ্ধি করে।
পুরপ্রধান বলেন, ‘‘এ বছরে বনগাঁ শহরে এখনও কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হননি। তবুও আমরা ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে ঢিলেমি দিতে চাই না। পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের জন্য ২০০ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ করছেন। প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হবে।’’
এ দিন পুরসভার কর্মীরা মিষ্টির দোকান ও খাবারের দোকানের ভিতরে গিয়েও খোঁজ নিয়ে দেখেন কোথাও আবর্জনা বা জল জমে আছে কি না। পুরসভার ডেঙ্গি নিয়ে প্রচারের ফাঁকেই অবশ্য দেখা যাচ্ছে, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগে বাজার ছেয়ে গিয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই ব্যবহার করছেন।