TMC worker murder

অর্জুনের ভাইপো গ্রেফতার জগদ্দলে তৃণমূল কর্মী খুনে, দলেরই বিধায়কের কথায় পাকড়াও বলে অভিযোগ

গত নভেম্বর মাসে নিজের বাড়ির উঠোনে গুলি করে খুন করা হয় ভিকিকে। অভিযোগ, তিন জন বাইকে করে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের ভাইপো। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ সাংসদের ভাইপো সঞ্জিত সিংহ ওরফে পাপ্পুকে গ্রেফতার করেছে। এই গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে দাবি করেছেন পাপ্পুর আইনজীবী রাকেশ সিংহ। তাঁর অভিযোগ, অন্য একটি মামলায় তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও এর প্রেক্ষিতে পুলিশের তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

গত নভেম্বর মাসে নিজের বাড়ির উঠোনে গুলি করে খুন করা হয় ভিকিকে। অভিযোগ, তিন জন বাইকে করে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালান। রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকিকে প্রথমে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতর তুঙ্গে ওঠে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। প্রকাশ্যে চলে আসে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে অর্জুনের বিবাদ। তৃণমূল নেতৃত্ব দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বটে। কিন্তু পাপ্পুর গ্রেফতারিতে তা আবার জোরালো হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাপ্পুর আইনজীবী রাকেশও ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, বিধায়ক সোমনাথের কথাতেই গ্রেফতার হয়েছেন অর্জুনের ভাইপো। এ ব্যাপারে বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভিকি খুনের ঘটনায় দিন কয়েক আগেই অন্যতম অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের নাম পঙ্কজ সিংহ ওরফে ইমরান আহমেদ, ইফতিকার আলম ওরফে সোনু এবং মহম্মদ জিশান। সোনু খুনের সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। সে গুলিও চালিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত আরও দু’জন এখনও পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিকিকে খুনের ঘটনায় এর আগে পুলিশ রিঙ্কু সিংহ এবং রহিস আলি নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। তবে, খুনের ঘটনার প্রধান চক্রীর হদিস এখনও পায়নি পুলিশ। কিছু দিন আগে কামারহাটিতে মোটরবাইক চুরির একটি ঘটনায় মহম্মদ জিশানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ভিকিকে খুনের ঘটনার অন্যতম চক্রীর সন্ধান পায় পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই চক্রীর নাম পঙ্কজ সিংহ। তার বাড়ি জগদ্দলে। তবে, সে কামারহাটিতে থাকত। জিশানের বাড়িও কামারহাটিতে। তার সঙ্গে পঙ্কজের আলাপ ছিল। জিশান চুরি করা বাইক পঙ্কজদের দিয়েছিল। সোনুর বাড়ি কাশীপুর এলাকায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement