প্রতীকী ছবি।
স্কুল থেকে নাতিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক প্রৌঢ়। আচমকাই একটি লরি এসে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে প্রৌঢ়ের সাইকেলে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। গুরুতর জখম হয় শিশুটিও। গত বছর অগস্টে এ ভাবেই বেহালার এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘ়়টনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সোমবারের ঘটনা উস্কে দিল সেই পুরনো স্মৃতি। তখন অভিযোগ উঠেছিল, পুলিশি গাফিলতির। সৌরনীল সরকার নামে এক পড়ুয়াকে পিষে দিয়েছিল। তার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। বাড়ানো হয় নজরদারি। সোমবারের ঘটনাতেও পুলিশি গাফিলতির অভিটযোগ তুললেন স্থানীয়েরা।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, মহেশতলা বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে নাতিকে স্কুল থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বছর ৬২-এর পরিতোষ দেবনাথ। ট্রাঙ্ক রোডের রামপুর কালীমন্দিরের কাছে পরিতোষের সাইকেলটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি ১৬ চাকার লরি। সঙ্গে সঙ্গে সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান দু’জনই। রক্তে ভিজে যায় দাদু, নাতি দু’জনেরই জামা।
ঘটনাটি নজরে আসতেই আহত দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরিতোষ দেবনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শিশুটির চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রাই ঘাতক লরিটিকে ধরে ফেলেন। চালককে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। অভিযুক্ত লরির চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। অন্য দিকে, অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবি করেন স্থানীয়েরা। তাঁদের দাবি, দুর্ঘটনার সময় এলাকায় কোনও পুলিশ ছিল না। পুলিশি নজরদারির অভাবে প্রায়ই এলাকা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করে।
উল্লেখ্য, বেহালার বড়িশা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল সরকারের মৃত্যু হয়েছিল পথদুর্ঘটনায়। বাবার সঙ্গে সকাল বেলা স্কুলে যাচ্ছিল সৌরনীল। অটো থেকে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সম়য় একটি লরি পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই ম়ৃত্যু হয়েছিল তার। সৌরনীলের ম়ৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। এমনকি হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল ঘটনাটি।