Snake Bite Death

সাপের কামড়ে মৃত্যু রুখতে প্রচার প্রতিবেশী দেশেও

চলতি বছরে রেকর্ড পরিমাণ সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটেছে ক্যানিং মহকুমা-সহ সুন্দরবনের আশপাশের এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং  শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৩৭
Share:

ক্যানিং থেকে সাইকেলে শুরু হল প্রচার। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা  prasen.ne@gmail.com

সাপের কামড়ে মৃত্যু রুখতে প্রচারে নামল ক্যানিংয়ের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এ দেশ ছাড়াও আগামী কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের বিভিন্ন অংশেও চলবে প্রচার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ক্যানিং বাস স্ট্যান্ড থেকে কর্মসূচির সূচনা হয়। সংস্থার ছয় সদস্য তিনটি দলে ভাগ হয়ে সাইকেলে চেপে রওনা দেন তিন প্রতিবেশী দেশের উদ্দেশ্যে। সংস্থা সূত্রের খবর, শুভেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় ও তুষারকান্তি ঢালি রওনা দিয়েছেন বাংলাদেশে, বাবলু সাউ ও কাবিল জমাদার গিয়েছেন ভুটান, নিরঞ্জন সর্দার ও মইনুদ্দিন মণ্ডল পাড়ি দিয়েছেন নেপালের দিকে। যাত্রাপথে বিভিন্ন বাজার, হাট, গঞ্জে তাঁরা স্থানীয় মানুষজনকে সাপে কামড়ানো নিয়ে সতর্ক করবেন। সাপের কামড়ের পরে কী করণীয়, সাপকে বাঁচিয়ে কী ভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে, সেই সমস্ত বিষয়ে প্রচার করবেন। পোস্টার, প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে প্রচার ছাড়াও ছড়া, গান এবং পথ নাটিকার মাধ্যমেও প্রচার চালানো হবে।

সাপের কামড়ে মৃত্যুর বিষয়টি ইতিমধ্যেই জাতীয় কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে আরও বেশি করে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ বলে সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে। আগামী পনেরো দিন ধরে চার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার চলবে।

Advertisement

চলতি বছরে রেকর্ড পরিমাণ সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটেছে ক্যানিং মহকুমা-সহ সুন্দরবনের আশপাশের এলাকায়। একাধিক মৃত্যু ঘটেছে। সাপের কামড়ের পরে ওঝা, গুনিনের কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করা ও দেরি করে হাসপাতালে আসার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বেশি। সংস্থার দাবি, মানুষের মধ্যে সাপ সম্পর্কে ভয়, অজ্ঞতা ও অন্ধ বিশ্বাসের জেরেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

নিরঞ্জন বলেন, “আমরা লাগাতার এ নিয়ে আমাদের জেলা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করি। মানুষকে সচেতন করি। এ বার সেই সীমানা ছাড়িয়ে আমরা প্রতিবেশী রাজ্য ও প্রতিবেশী দেশের মানুষকেও সচেতন করব। আমাদের লক্ষ্য, সাপের কামড়ে একটি প্রাণও যেন না যায়।” সংস্থার আর এক সদস্য শুভেন্দু বলেন, “মূলত সচেতনতার অভাবেই সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সাপে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সরকারি হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে গেলে বিপদের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। রাতে মশারি ব্যবহার করা-সহ বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে বিপদের আশঙ্কা কমে। এ সব নিয়েই প্রতিবেশী দেশের মানুষকে সচেতন করার জন্য আমরা রওনা দিয়েছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement