ভাঙাচোরা: টাকির ইছামতীর বাঁধের উপরের পিচের রাস্তার এই অবস্থা। নিজস্ব চিত্র
আমপানের পরে কেটে গেল বেশ কয়েক মাস। এখনও সেই দুর্যোগের চিহ্ন হিসাবে থেকে গিয়েছে ভেঙে যাওয়া রাস্তা।
আমপানে ইছামতী নদীর জলের তোড়ে নদী বাঁধের উপরের পিচের রাস্তা ভেঙে যায়। টাকির পিএসই গেস্ট হাউসের সামনে থেকে মিনি সুন্দরবনের দিকে যেতে প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা এখনও ভেঙে রয়েছে। এখন এই রাস্তার প্রায় ১০০ মিটার অংশ এতটাই সরু হয়ে গিয়েছে যে বাইক বা সাইকেল ছাড়া কিছুই চলাচল করতে পারছে না। পাশাপাশি দু'টো সাইকেলও এই অংশ দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না।
এই পথ দিয়ে আগে টোটো চালকরা মিনি সুন্দরবনে পর্যটকদের নিয়ে গেলেও এখন এই পথ দিয়ে যাতায়াত করা বন্ধ করে দিয়েছেন। ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। মিনি সুন্দরবন পর্যন্ত যে পিচের রাস্তা রয়েছে, তার অবস্থাও ভাল নয়। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।
এই রুটের টোটো চালক সুব্রত দে বলেন, “এই রাস্তার সোদপুর হাটখোলা, জেলেপাড়া-সহ বিভিন্ন জায়গার রাস্তার যা অবস্থা, তাতে যে কোনও সময়ে বিপদ হতে পারে। আমপানের পরে এখনও কোনও কাজ শুরু হল না রাস্তার। যে ক’জন পর্যটক আসছেন, এই রাস্তা দিয়ে তাঁদের নিয়ে যেতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।” ইঞ্জিন ভ্যান চালক দুলাল মণ্ডলও একই কথা বলেন।
চৌরঙ্গী থেকে টাকি রামকৃষ্ণ মিশন পর্যন্ত পিচের রাস্তার অবস্থাও খুবই খারাপ বেশ কয়েক মাস ধরে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে পর্যটক ও স্থানীয় মানুষকে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “করোনার জন্য এত দিন কাজ থেমে ছিল বিভিন্ন অফিস বন্ধ থাকায়। এ বার কাজ দ্রুত শুরু হবে।”