আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ভাঙল বৃষ্টিতে
amphan

পা ভেঙে বিপত্তি ভ্যানচালক গৃহকর্তার

ঘরে অনেকে ছিলেন সে সময়ে। বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও গৃহকর্তার পা ভেঙেছে।

Advertisement

নির্মল বসু

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৫১
Share:

ভাঙল বাড়ি। দেগঙ্গায়। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

আমপানে ঘর ভেঙেছিল। ক্ষতিপূরণ মেলেনি। ফলে সারানো হয়নি বাড়িঘর। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সেই মাটির ঘরের দেওয়াল ভেঙে পড়ল। ঘরে অনেকে ছিলেন সে সময়ে। বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও গৃহকর্তার পা ভেঙেছে। পেশায় তিনি ভ্যানচালক। কী ভাবে এ বার কাজে ফিরবেন তিনি, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার। বাড়ির কর্তা দেবকুমার দাসকে স্থানীয় বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার মাঝ রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার নুরনগর পঞ্চায়েতের রামনাথপুরের দাসপাড়ায়। এলাকার মানুষের অভিযোগ, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তেরা যদি ঘর ভাঙার টাকা পেতেন, তা হলে হয় তো এমনটা হত না।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামনাথপুরের দাসপাড়ার বাসিন্দা দেবকুমার ভ্যান চালান। মাটির আটচালা ঘরটিতে সত্তর বছরের বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁর সংসার। রাতে পরিবারের সাত ও পাঁচ বছর শিশুদের নিয়ে একটি কাঠের চৌকিতে স্বামী, স্ত্রী ঘুমোচ্ছিলেন। দেবকুমারের দাদা বাপি বলেন, ‘‘রাত দেড়টা নাগাদ প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভাঙতেই দেখি ভাইয়ের মাটির ঘর ভেঙে পড়েছে। চাপা পড়া মাটির দেওয়াল সরিয়ে সকলকে উদ্ধারের পর দেখি, ভাইয়ের হাঁটু ভেঙেছে।’’
এ দিন দেবকুমারের বাবা মধুসূদন বলেন ‘‘আমপানে টালির ছাউনি উড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ঘর। একাধিকবার পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনের দফতরে গিয়ে আবেদন করলেও কোনও লাভ হয়নি। ক্ষতিপূরণ পেলে হয় তো বাড়িটা এত দিনে সারানো হয়ে যেত। তা হলে এই দুর্ঘটনাও ঘটত না।’’
এ বিষয়ে নুরনগর পঞ্চায়েতের প্রধান উমা দাসের স্বামী নিলুপদ বলেন, ‘‘আমপানের পর কোনও আবেদন করেনি ওই পরিবার। ওঁরা আগে অন্য প্রকল্পে ঘর পেয়েছিলেন।’’ যদিও এ কথা মিথ্যে বলে দাবি করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
স্থানীয় বাসিন্দা সমীর দাস, কমল দাস, পরিতোষ দাস, কল্পনা দাসরা বলেন, ‘‘নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে পঞ্চায়েত থেকে আবেদনের কথা অস্বীকার করা হচ্ছে।’’ ঘর ভেঙে আশ্রয়হীন পরিবার এখন কোথায় গিয়ে মাথা গুঁজবে তা নিয়ে চিন্তিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement