স্বরূপনগরের গ্রামে সেই অবৈধ নির্মাণ। — নিজস্ব চিত্র।
উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে অবৈধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে গ্রামে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, এক গ্রামবাসী সরকারি জমিতে অবৈধ ভাবে কংক্রিটের নির্মাণ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের কোথাও সরকারি জমিতে অবৈধ নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না। তার পরেও ওই নির্মাণ অক্ষত রয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। নির্মাণ যে অবৈধ, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বাড়ির লোকজনও।
স্বরূপনগরের শাড়াপুল নির্মাণ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা দেবদাস গোলদার। তাঁর বাড়িতে একটি অবৈধ নির্মাণ হয়েছে বলে অভিযোগ। বাড়ির সামনে খালের উপর কংক্রিটের কাঠামো নির্মাণ করেছেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, নির্মাণ করার জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেননি দেবদাস। এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপির মদতে সরকারি জমিতে অনুমতি ছাড়া ওই নির্মাণ করেছেন অভিযুক্ত। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য জয়প্রিয় রায় বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি এই ধরনের নির্মাণ সম্পর্কে কিছু জানি না। আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’’
অবৈধ নির্মাণের কথা স্বীকার করে দেবদাসের ভাই অরূপ গোলদার বলেন, ‘‘গাড়ি রাখার জন্য আমরা একটা ঘর করেছি। এই নির্মাণ অবৈধ।’’ তবে রাজনৈতিক যোগের কথা স্বীকার করেননি তিনি।
স্বরূপনগরের বিধায়ক বীণা মণ্ডল জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। কোথাও অবৈধ নির্মাণ করা যাবে না। দ্রুত ওই নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন অবৈধ ভাবে কোনও জমি দখল করা যাবে না। অবৈধ নির্মাণও করা যাবে না। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ করব।’’
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের নানা প্রান্তে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান চলছে। কলকাতা পুরসভার অধীন এলাকাতেও দু’দিন দোকানপাট ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী দখলদারকের এক মাস সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না বলেও জানান তিনি। সরকারের ঘোষণার পর স্বরূপনগরের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে।