এই সিসি ক্যামেরার ফুটেজে মারধর করতে দেখা গিয়েছে।
একদিনের মধ্যে ব্যক্তিগত ঋণ মঞ্জুর হয়নি। সেই রাগে কৃষি সমবায় সমিতিতে ঢুকে কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁদের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার দক্ষিণ রায়পুরের ঘটনা। বৃহস্পতিবার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামনে এনেছে সমবায় সমিতি (তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)। সেখানে মারধরের ছবি দেখা গিয়েছে। সমিতির সম্পাদক অর্ধেন্দুশেখর দাস দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁদের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অর্ধেন্দু বলেন, ‘‘যেদিন ঘটনাটি ঘটে, সেই দিনই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু পুলিশ দোষীদের আড়াল করতে লঘু ধারায় মামলা রুজু করেছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এখানকার কর্মীরা। বুধবার সমিতির পরিচালন কমিটির সদস্যেরা বৈঠক করে শাখার লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যতদিন না অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নেবে, ততদিন সমিতি বন্ধ থাকবে।’’ বৃহস্পতিবার থেকে ওই শাখায় সব আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে সমবায় সমিতির কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধান। পরে হাতাহাতি হয় উভয়পক্ষের সঙ্গে। পুলিশ তদন্ত করছে। যা যা আইনগত পদক্ষেপ, সবই করা হচ্ছে।’’ সমবায় সমিতি ও পুলিশ সূত্রের খবর, ঢোলাহাট থানার সিভিক ভলান্টিয়ার আব্দুর রউফ বৈদ্য সোমবার ব্যক্তিগত ঋণের জন্য সমিতিতে যান। সেখানকার ম্যানেজার জানান, ২৩ এপ্রিল পরিচালন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মে মাসের প্রথম সপ্তাহের আগে কোনও অকৃষি ঋণ দেওয়া যাবে না। এ কথা শুনে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার সমিতির সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনিও একই কথা বলেন।
অভিযোগ, এ কথা শোনার পরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রউফ। আরও এক সিভিক ভলান্টিয়ার সাবির বৈদ্যকে ডেকে আনেন। সঙ্গে আরও কিছু যুবক সমিতিতে ঢোকে। এরপরে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, সমিতির দুই কর্মীকে কিল-চড়-ঘুষি মারতে থাকে বেশ কয়েকজন। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গীরা এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
রউফ বলেন, ‘‘আমি ঋণ নিতে গেলে কটূক্তি করা হয়। তর্কাতর্কি বাধে।’’ গোলমাল, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।