কাজ শুরু এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের, সাগরে পরিষেবা দিতে তৈরি একাধিক অস্থায়ী হাসপাতাল

গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের জন্য চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। তৈরা হয়েছে সারি (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন) ওয়ার্ড।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাগর শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:৫৪
Share:

মেলা থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের জন্য চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। তৈরা হয়েছে সারি (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন) ওয়ার্ড। সেখানে করা হচ্ছে করোনা অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। মেলায় অসুস্থ হওয়া পুণ্যার্থীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য ২টি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছিল আগেই। মঙ্গলবার অসুস্থ হওয়া ৩ জনকে তাতে করেই সাগর থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে হাওড়ায়।

Advertisement

শুধু মেলার জন্যই ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী হাসপাতাল। এর মধ্যে মেলা প্রাঙ্গণে তৈরি অস্থায়ী হাসপাতালে রয়েছে আইসিইউ বেড। শ্বাসকষ্টের উপসর্গ যুক্ত রোগীদের জন্য আলাদা করে তৈরি হয়েছে ‘সারি ওয়ার্ড’। এই ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের করোনার র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শ্বাসকষ্ট যুক্ত ৩০০-র বেশি তীর্থযাত্রীর র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

পাশাপাশি, করোনার জন্য কলকাতার বাবুঘাট থেকে মেলা পর্যন্ত মোট ১৩টি সেফ হোম চালু রয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণেই চালু রয়েছে ২টি সেফ হোম ও ৪টি কোয়রান্টাইন সেন্টার। মেলায় কর্মরত পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য থাকছে ৪টি ‘ওয়েলনেস সেন্টার’। মেলায় আসার প্রত্যেকটি গেটের মুখে তীর্থযাত্রীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। প্রত্যেক গেটে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজার টানেল। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের আবেদন জানিয়ে লাগাতার মাইকিং চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা। তবে মেলা প্রাঙ্গণের মধ্যে এখনও পর্যন্ত কোন তীর্থযাত্রী দেহেই করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।

Advertisement

মঙ্গলবার সাগরের বাসিন্দা বছর ৫৫-র মুকুল গিরি হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ নিয়ে চেমাগুড়ির অস্থায়ী হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মেলা প্রাঙ্গণের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে এর পরই তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে আসা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: করোনার জেরে গঙ্গাসাগরে ই-স্নানে বিপুল সাড়া, মাছি তাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

অন্যদিকে সাগরের আরেক বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় বর (৩৪) বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকেও চিকিৎসকদের পরামর্শে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স করে হাওড়ায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে মেলায় কর্মরত এক স্বেচ্ছাসবককে বিষাক্ত সাপে কামড় দেয়। তাঁকে প্রথমে মেলা গ্রাউন্ডের হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে একই উপায়ে হাওড়ায় পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. দেবাশিস রায় বলেছেন, ‘‘মেলা চলাকালীন অসুস্থ ২ জনকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের মাধ্যমে হাওড়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব ধরনের ব্যবস্থা তৈরি রাখা হয়েছে। কোনও তীর্থযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লেই কুইক রেসপন্স টিম তাঁদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসবেন মেলা হাসপাতালে’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement