জল থই থই চাষের খেত। ছবি: নির্মল বসু।
কোথাও ভেঙে গিয়েছে গাছ। কোথাও উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। চাষের জমিতে জমেছে জল। টানা ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালি ব্লকের কয়েকটি এলাকা।
বসিরহাটের মহকুমাশাসক নীতেশ ঢালি বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ভয়ের কারণ নেই। সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। বিডিও এবং সেচ দফতরের কর্তারা নজরদারি চালাচ্ছেন। প্রযোজনীয় ত্রাণ মজুত রাখা হয়েছে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটানা বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা হাওয়ায় সুন্দরবনের রায়মঙ্গল, গৌড়েশ্বর, ইছামতী-সহ বিভিন্ন নদীবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। হিঙ্গলগঞ্জে ১৩ নম্বর সান্ডেলের বিল, ভান্ডারখালি, রমাপুর, দুলদুলি এবং সাঁতরা এলাকায় বাঁধ বসে গিয়েছে। চাঁড়ালখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জ ১১ নম্বর এলাকায় স্লুইজ গেটের অবস্থা ভয়াবহ। নেবুখালি এবং ছোট সাহেবখালিতে রাস্তায় উপরে বিদ্যুতের খুঁটি এবং গাছ উপড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা গাছের ডাল কেটে এবং বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যোগেশগঞ্জ, গোবিন্দকাটি, সাহেবখালি এবং দুলদুলি পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার বিঘা আমন ধান এখন জলের নীচে। সন্দেশখালি, হাড়োয়া এবং মিনাখাঁ ব্লকে কয়েকটি মাছেরভেড়ি প্লাবিত হয়েছে বলে খবর। ফলে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ভেড়ি মালিকেরা।
২০০৯ সালে আয়লা ঝড়ে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৃত্য হয়েছিল বহু মানুষের। তারপর কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের ভাঙন রুখতে দুই ২৪ পরগনায় কংক্রিটের আয়লা বাঁধের পরিকল্পনা হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, আয়লার পরে সাত বছর পেরোলেও বাঁধের কাজ তেমন এগোয়নি। যদিও সেচ দফতরের কর্তাদের আশ্বাস, দ্রুত আয়লা বাঁধ তৈরির জন্য সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।