—প্রতীকী চিত্র।
নির্মীয়মাণ আবাসনের পাঁচিলের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক সদ্যোজাতের দেহ। মঙ্গলবার সকালে কামারহাটির সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার সকালে মিলল আরও দু’টি ভ্রূণ। এ বার একটি নিকাশি নালার পাশে জমা আবর্জনা থেকে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কামারহাটিতে এক সদ্যোজাতের দেহ ও দু’টি ভ্রূণ উদ্ধারে বিস্মিত বাসিন্দারা। তদন্তে নেমেছে পুলিশও।
সূত্রের খবর, কামারহাটির তিন কিলোমিটার এলাকার ভিতরে ওই তিনটি দেহ ও ভ্রূণ উদ্ধার হয়েছে। একটি ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরায় ছুড়ে ফেলার ফুটেজও মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। জানা যাচ্ছে, কামারহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আড়িয়াদহ রামকৃষ্ণপল্লির নির্মীয়মাণ আবাসনের কর্মীরা মঙ্গলবার সকালে দেখেন, পাঁচিলের পাশে কাপড়ে মোড়া অবস্থায় পড়ে আছে এক সদ্যোজাত। পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিশ দেখে, আবাসনের দিক থেকে কাপড়ে মোড়া একটি পুঁটলি ছোড়া হচ্ছে নির্মীয়মাণ বহুতলের দিকে। তবে কারা সেটি ছুড়ছেন, বোঝা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, সদ্যোজাতের দেহের ময়না তদন্তের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আবাসনের একটি ঘরের পাশে মাটিতে রক্তও লেগে ছিল।
অন্য দিকে, এ দিন সকালে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাসুদেবপুর মধ্যপল্লি এলাকায় নিকাশি নালা সাফাইয়ের সময়ে গলির মধ্যে জমে থাকা আবর্জনায় প্লাস্টিকে মোড়া কিছু দেখে সন্দেহ হয় সাফাইকর্মীদের। খুলতেই দেখা যায়, দু’টি ভ্রূণ। তদন্তকারীদের অনুমান, গর্ভপাত করিয়ে সাত-আট মাসের ভ্রূণ দু’টিকে ওখানে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় কেউ জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। দু’টি ঘটনারই তদন্ত শুরু করেছে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশ।