অর্জুন সিংহ। নিজস্ব চিত্র
প্রথমে খুন, তার পর বোমাবাজি। উত্তেজনা থামছে না ভাটপাড়ায়।
রবিবার ভাটপাড়ার এক নম্বর কুলি লাইন এলাকায় এক জুটমিল শ্রমিককে বোমা মেরে খুন করা হয়। নিহতের নাম জেপি যাদব। পুলিশ সূত্রে খবর, বোমার আঘাতে তাঁর ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। নিহতকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করেছে বিজেপি। ওই দিন রাত থেকে ভাটপাড়ার সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়ির কাছে বোমাবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এক দল দুস্কৃতী বোমাবাজি করে। ঘটনায় ১ জন জখম বলে জানা গিয়েছে। কয়েকটি দোকান এবং বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া ২টি বাইক এবং রাস্তার সিসি ক্যামেরাও ভেঙে দেওয়া হয়। কয়েক জনের থেকে তোলাও দাবি করা হয় বলে অভিযোগ।
রবিবার রাতের ঘটনার জেরে সোমবার জগদ্দল বাজারে ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগদ্দল থানার পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান অবরোধকারীরা। পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্যারাকপুরের কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘একটা বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় ২টি গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। তবে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।’
যদিও অর্জুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে, তা-ও বোমাবাজি হচ্ছে। এতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাই প্রমাণ হচ্ছে। জেপি যাদবের খুনে জড়িত তাঁর পাশের বাড়ির লোক, লালন সিংহ আর তাঁর ছেলে চন্দন সিংহ। তাঁদের গ্রেফতার করুক। পুলিশ তো বলেই দিচ্ছে, ওদের ভোটে জিতেই সরকার তৈরি হয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না।’’
জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম পাল্টা বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। অর্জুন সিংহই এ সব ঘটনার জন্য দায়ী। অর্জুনকে গ্রেফতার করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’