শান্তনু ঠাকুরের বনভোজন কৌশল। — ফাইল চিত্র
গত সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় বিজেপি-র বিক্ষুদ্ধদের নিয়ে চড়ুইভাতিতে মেতেছিলেন দলের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেই রেশ বজায় থাকতে থাকতেই ফের চড়ুইভাতির আয়োজন। রবিবার নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় বনভোজনের আয়োজন করেছেন শান্তনু ঘনিষ্ঠরা।
উত্তর ২৪ পরগনা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনু ছাড়াও ওই বনভোজনে দলের কয়েক জন বিধায়ক এবং জন প্রতিনিধিদের থাকার কথা। ঘটনাচক্রে বনগাঁর বনভোজনে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশিবিরের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসু, বর্তমান কমিটির মুখপাত্র তথা প্রাক্তন সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া-সহ অনেকেই। তাঁরা এ বারের চড়ুইভাতিতেও উপস্থিত হবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গোবরডাঙার গৈপুরে বিজেপি-র গোবরডাঙা পুরমণ্ডলের সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগানবাড়িতে ওই বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। বনগাঁর মতো এ বারও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনে থাকছে ভাত, ডাল, বেগুনি, চিকেন কষা, মাছ, চাটনি এবং পাঁপড়। সেই সঙ্গে বিজেপি-র ওই বিক্ষুব্ধদের শিবিরে আলোচনায় কী উঠে আসে তা নিয়েও আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
গত বারের বনভোজন শেষে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শান্তনু বলেন, ‘‘সুরের থেকে যদি বেসুর শুনতে ভাল লাগে তা হলে মানুষের কাছে সেটাই গৃহীত হয়। অর্থাৎ যে অবস্থান এখন আছে ভারতীয় জনতা পার্টির তাতে আগামীতে বেসুরোদের সংখ্যা যদি বেশি হয়ে সেটা সুরে বাজে তা হলে তা মানুষ গ্রহণ করবেন। সেই অবস্থান তৈরি হতে যাচ্ছে আগামীতে।’’ নতুন ‘অবস্থান’ তৈরির লক্ষ্য স্থির করার পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বনভোজনের আয়োজন।