অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এলাকায় একশো দিনের কাজ প্রকল্প ও আবাস যোজনা প্রকল্পে উপভোক্তাদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য শুক্রবারই এক ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে শিবির করে ওই নাম নথিভুক্ত করার কথা বলেছেন তিনি। তবে তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডায়মন্ড হারবার বিধানসভায় ইতিমধ্যেই ১৩টি পঞ্চায়েতে ১৩ দিন শিবির করে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ১৬ হাজার উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত হয়েছে। ওই নামের তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে বকেয়া মেটানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় বকেয়া টাকা ফেরত দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যই। সেই কাজের জন্যই রাজ্যের সর্বত্র শিবির করার কথা বলেছেন অভিষেক। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে বার্ধক্য ভাতা দিচ্ছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে ৭৬,১২০ জন প্রবীণকে মাসিক ১ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ওই প্রবীণদের শনাক্ত করতে লোকসভা জুড়ে প্রায় দেড়শো শিবির করতে হয়েছিল।
একই ভাবে জেলার বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর নির্দেশ মতো শিবির হবে। প্রতিটি শিবিরে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় বিধায়ক, পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের পাশাপাশি আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের নামও নথিভুক্ত করা হবে। ৮ দিনের শিবিরের পরে নামের তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন অভিষেক। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, নির্বাচনের আগের দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে এবং সংগঠন আরও মজবুত করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ।
এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শামিম আহমেদ বলেন, “এই বিধানসভা একটি পুরসভা ও ১৩টি পঞ্চায়েত নিয়ে। একশো দিনের কাজ পুরসভায় হয় না। সদ্য শেষ হওয়া ১৩টি পঞ্চায়েতে শিবির করে ১৬ হাজার উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত করতে পেরেছি। ওই নামের তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে।” ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার বলেন, “আমরা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি।”