গরম ইট চাপা পড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। —প্রতীকী চিত্র।
ইটের পাঁজায় আগুন দেওয়ার সময়ে গরম ইট চাপা পড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল একমহিলার। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক জন। সোমবার বিকেলে রায়দিঘির নগেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের দমকল হালদারপাড়ার ঘটনা। মৃতার নাম শীলা হালদার (৪৫)। তাঁর বাড়ি ওই গ্রামেই। জখমকে প্রথমে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পাড়ার এক বাসিন্দা ইট তৈরি করে বিক্রি করেন। সে জন্য ইটের পাঁজা রয়েছে সেখানে। কাঁচা ইট পোড়ানোর জন্য পাঁজার একাংশ ফাঁকা রাখা হয়। সেখানে আগুন জ্বালানো হয় শুকনো ডালপালা দিয়ে। এ দিন পাঁজায় সেই কাজই করছিলেন শীলা। তাঁকে খড়ের জোগান দিচ্ছিলেন মনোরঞ্জন হালদার নামে আর এক গ্রামবাসী। আচমকা গরম ইটের পাঁজা ভেঙে পড়ে। দু’জনেই চাপা পড়ে যান। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুর থেকে জল তুলে ইটের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলেই শীলার মৃত্যু হয়। আহত মনোরঞ্জনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। খবর পেয়ে পুলিশ যায় গ্রামে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।