সৌম্যকান্ত বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র
বন্ধুদের সঙ্গে বনভোজন সেরে বাড়ি ফেরার কিছু পরেই উদ্ধার হল তৃণমূল যুবনেতার ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। ওই তৃণমূল যুবনেতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
রবিবার রাতে নৈহাটির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামাসুন্দরী এলাকার বাসিন্দা সৌম্যকান্ত বিশ্বাস (২৮)-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন তাঁর বন্ধুরা। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার তিনি বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আসার পর তিনি খোসমেজাজেই ছিলেন বলেও সৌম্যকান্তের পরিবারের সদস্যদের দাবি। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে চা খান। এর পর বাড়িতে ফিরে এসে তিনি অন্যদের সঙ্গে বসে গল্পও করেন। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন, ‘ফিরিবার পথ নাহি, দূর হতে যদি দেখ চাহি,পারিবে না চিনিতে আমায়,হে বন্ধু বিদায়।’ ফেসবুকে সেই পোস্ট দেখেই তড়িঘড়ি সৌম্যর বাড়িতে পৌঁছন তাঁর বন্ধুরা এবং তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
সৌম্যর এক কাকা বলেন, ‘‘ও তৃণমূলকে ভালবাসত। তৃণমূলের কোনও নেতা-কর্মী ওকে চিনতেন না এমন নয়। প্রত্যেকে ওকে সম্মান করতেন। কী হয়েছিল সেটা বুঝতে পারছি না।’’
বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘ও অত্যন্ত ভাল ছেলে এবং সক্রিয় কর্মী ছিল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ও লড়াকু সৈনিক। টিএমসিপি-র সাধারণ সম্পাদক ছিল ও। কোনও ব্যক্তিগত জায়গা থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। ও তিন দিন আগে একটা সমস্যার কথা বলেছিল। আমি তার সমাধান করেছি। কিন্তু ও কেন এটা আমাকে বলল না সেটা আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে।’’
নৈহাটি থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সৌম্যর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সৌম্যকান্তর এমন রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।