অভিষেকের সঙ্গে সম্প্রতি কথাও হয়েছে কুণালের। আনন্দবাজার অনলাইনকে কুণাল বলেন, ‘‘শুধু রাজ্যস্তরেই নয়, ছোটছোট এলাকায় কী ভাবে কোভিড মোকাবিলা করতে পারি, তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে জনপ্রতিনিধিদের।’’
তাঁর ব্যক্তিগত অভিমতকে সমর্থন জানানোয় চিকিৎসক কুণাল সরকারকে প্রকাশ্যে ধন্যবাদ জানালেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে একটি বৈঠক করেন সাংসদ অভিষেক। সেখান থেকে বলেছিলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতিতে আগামী দু’মাস সব কিছু বন্ধ রাখা উচিত। নির্বাচন বন্ধ রাখা উচিত। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।’’ অভিষেকের এই মত প্রকাশ্যে আসার পর চিকিৎসক কুণাল সরকার তাঁকে সমর্থন করেন। টুইটে লেখেন, ‘অভিষেক যা বলছেন তাকে সমর্খন করি। এই চিন্তাভাবনা বাস্তবায়িত করা হোক।’
অভিষেকের সঙ্গে সম্প্রতি কথাও হয়েছে কুণালের। আনন্দবাজার অনলাইনকে কুণাল বলেন, ‘‘শুধু রাজ্যস্তরেই নয়, ছোটছোট এলাকায় কী ভাবে কোভিড মোকাবিলা করতে পারি, তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে জনপ্রতিনিধিদের। সেই কাজটাই অভিষেক করছেন। যা সাহায্যের দরকার, তা আমরা করতে রাজি।’’
সরকার যে ভাবে করোনা মোকাবিলা করছে, তা নিয়ে অনেক সময়ই সমালোচনা করেছেন কুণাল। সম্প্রতি করোনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের বিধিনিষেধ জারির পর তিনি বলেছিলেন, ‘‘সরকার এত দিন করোনা নিয়ে মাথা ঘামায়নি। আমারা বুর্জ খালিফা দেখেছি। বড়দিন পালন করেছি। কাতারে কাতারে মানুষ কোভিড বিধি মানেননি। তখন সরকার আরও কড়া হতে পারত। কিন্তু এখন হকার, চা ওয়ালা, দোকানদার, বেসরকারি অফিস কর্মীদের উপর নেমে এল সব নিষেধ।’’
লোকাল ট্রেনে নিয়ন্ত্রণের পরও ট্রেনের ছবি দিয়ে একটি টুইট করেন কুণাল। লেখেন ‘আর নয়...।’ গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনে রাজ্যের অবস্থান নিয়েও সমালোচনা করেন কুণাল। কুণাল বলেন, ‘‘আমাদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। রাজনীতির লোকেরাও যে স্বাধীন ভাবে তাঁদের এলাকায় সংক্রমণ কমানোর ব্যাপারে নজর দিচ্ছেন, কোভিড বিধি পালন নিয়ে প্রচার করছেন—এই পদক্ষেপ চালিয়ে যেতে হবে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবার না গেলেও শুনেছি, ওখানে মাস্ক পরা, কোভিড বিধি মানার ব্যাপারে প্রশাসন এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদরা উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে পরিস্থিতি ভাল হচ্ছে। রাজ্যের অন্য জায়গাতে জনপ্রতিনিধিদের নিজেদের এলাকায় এই কাজটাই করা উচিত।’’