নিজস্ব চিত্র।
কনকচূড়় ধান থেকে তৈরি খইয়ের সঙ্গে নলেন গুড়, গাওয়া ঘি, খোয়া ক্ষীর, মধু, কিশমিশ, কাজু বাদাম মিশিয়ে প্রায় এক শতাব্দী আগে এই বাংলায় প্রথম তৈরি হয়েছিল জয়নগরের মোয়া। অনবদ্য স্বাদ আর গন্ধের জন্য এই মোয়া এখন আর শুধু বাংলাতেই নয়, এর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। মিলেছে ‘জি আই’ তকমাও। জয়নগরের মোয়ার প্রচার বাড়়াতে এ বার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগ।
অতীতে জয়নগরের উপ-ডাকঘরের মাধ্যমে পোস্ট পার্সেলে চেন্নাই ও মুম্বই শহরে পৌঁছে গিয়েছে এই মোয়া। এ বার শীতের মরশুম শুরুর আগেই একটি বিশেষ খাম প্রকাশ করল ডাকবিভাগের দক্ষিণ প্রেসিডেন্সি শাখা। সেই খামে রয়েছে মোয়ার ছবি। সঙ্গে ‘জি আই’ চিহ্ন ও প্রস্তুতকারক সোসাইটির নাম।
ডাক বিভাগ সূত্রে খবর, এই বিশেষ খাম পৌঁছে যাবে কলকাতা ও দিল্লির মুখ্য ডাকঘরে। ইতিমধ্যেই রাজধানী শহরে ৫০০টি খাম পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন মুখ্য ডাকঘরের ফিলাটেলিক মিউজিয়ামেও তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ফিলাটেলিক সংগ্রাহকরা সহজেই তা সংগ্রহ করতে পারবেন। আপাতত স্পেশাল খামের দাম ২৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে। স্ট্যাম্প বিহীন খামের দাম ২০ টাকা। পরবর্তী কালে বিদেশেও এই খাম পাঠানোর ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।
বুধবার বারুইপুর মুখ্য ডাকঘরে এই খামের উদ্বোধন করেন দক্ষিণ প্রেসিডেন্সি বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল নীরজ কুমার। ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার শিখা মাথুর কুমার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের অধ্যাপক প্রশান্ত বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের আওতাভুক্ত সংস্থা অ্যাপেডারের আঞ্চলিক অধিকর্তা সন্দীপ সাহা। এ ছাড়াও ছিলেন জয়নগরের মোয়া প্রস্তুতকারক সোসাইটির সম্পাদক অশোক কয়াল। এ দিন পোস্টমাস্টার জেনারেল নীরজ কুমার বলেন, ‘‘দেশে বিদেশে জয়নগরের মোয়াকে ছড়়িয়ে দিতেই এই প্রচেষ্টা।’’