তখনও মরণাপন্ন বাঘটিকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
সুন্দরবনে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল একটি বাঘের। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীনস্থ হরিখালি ক্যাম্পের হরিণভাঙা জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ওই পূর্ণবয়স্ক বাঘটিকে। সজনেখালি আনার পথে মৃত্যু হয় তার। বিধি মেনে ময়নাতদন্ত করা হবে মৃত বাঘটির।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে হরিণভাঙা জঙ্গলের একটি পুকুরের কাছে পড়ে থাকতে দেখা যায় বাঘটিকে। বনকর্মীরা গিয়ে বাঘটির প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন। তবে তাতে সাড়া দেয়নি বাঘটি। প্রথমে কাঁচা মাংস দেওয়া হয় খাবার জন্য। কিন্তু তা ছুঁয়েও দেখেনি বাঘটি। এর পর চিকিৎসকরা বাঘটিকে স্যালাইন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। এর পর বাঘটিকে সজনেখালি রেঞ্জ অফিসে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মারা যায় সেটি।
পুকুর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় বাঘটিকে। নিজস্ব চিত্র
অনেকেরই অনুমান, ইয়াস এবং ভরা কটাল— এই দুইয়ের ধাক্কা সামলাতে পারেনি বাঘটি। পশুপ্রেমীদের অনেকে মনে করছেন, প্রাকৃতির দুর্যোগের সঙ্গে টানা লড়াই চালাতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই প্রাণীটি। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী, তা জানতে ময়না তদন্ত করা হবে।
বনকর্মীদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে মারা যায় বাঘটি। নিজস্ব চিত্র
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র-অধিকর্তা তাপস দাস বলেন, ‘‘মৃত বাঘটির বয়স আনুমানিক ১০ বছর। ওজন ছিল ১০০ কেজি। বাঘটি বনকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসায় সাড়া দেয়নি। তার দেহে কোনও ক্ষত না থাকলেও, শরীরের ভিতরে কোনও সমস্যা থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’