—প্রতীকী চিত্র।
তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে, এই সন্দেহে হাঁসুয়া দিয়ে এক প্রৌঢ়কে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল পড়শির বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে বাগদার কুজারবাগি এলাকায় এই ঘটনায় নিহতের নাম রঞ্জিত বালা (৫৪)। অভিযুক্ত অঘোর বিশ্বাসকে বিকেলে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে রঞ্জিতের মৃত্যুর কথা জানাজানি হতেই উত্তেজিত গ্রামবাসী অঘোরের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়।
পুলিশ জানায়, খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এর আগেও এলাকায় নানা অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগে একাধিকবার অঘোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে রঞ্জিত বাড়ির উঠোনে বসে মুরগি রাখার খাঁচা তৈরি করছিলেন। সেই সময় অঘোর সেখানে আসে। দু’জনের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, তার মধ্যেই আচমকা হাঁসুয়া নিয়ে রঞ্জিতের উপর অঘোর হামলা করে। রঞ্জিতের বুকে, হাতে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।
রঞ্জিতের মেয়ে মৌসুমী বলেন, ‘‘আমি ঘরে শুয়ে ছিলাম। মা রান্না করছিল। হঠাৎ মায়ের চিৎকার শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখি, উঠোনে অঘোর হাঁসুয়া নিয়ে দাঁড়িয়ে। মা ও আমাকে দেখে সে কোপাতে আসে। আমরা ভয়ে ঘরে ঢুকে যাই। লোকজন চলে আসছে দেখে মাঠের মধ্যে দিয়ে অঘোর পালিয়ে যায়।
রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা উঠে
দাঁড়িয়ে দু’পা হেঁটেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা রঞ্জিতকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রঞ্জিতের স্ত্রী ঊষার দাবি, ‘‘অঘোর সন্দেহ করত, ওর স্ত্রীর সঙ্গে আমার স্বামীর সম্পর্ক আছে। ফোনে নাকি ওঁরা কথাও বলত! যদিও
এই অভিযোগ সত্য নয়। এই নিয়েই এ দিন সকালে বচসা বাধে। আচমকাই সে স্বামীকে কোপাতে শুরু করে।’’