—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক ধরে ফেলায় ‘আক্রান্ত’ হতে হল স্বামীকে। প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন স্বামী। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুরের এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।
কর্মসূত্রে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার মহামায়াতলায় ভাড়া থাকতেন পেশায় রিকশাচালক, পঁয়ত্রিশের গণেশ বৈদ্য। গণেশের সঙ্গেই সেখানে থাকতেন তাঁর স্ত্রী, পরিচারিকার কাজ করা লীলা বৈদ্য। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ বছর আগে দু’জনের বিয়ে হয়। তার আগে বছর পাঁচেক তাঁদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই দম্পতির একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। আগে দু’জন ওই জেলারই নামখানা এলাকায় থাকতেন।
গণেশের অভিযোগ, ইদানীং প্রায়ই তাঁর স্ত্রী লীলার ফোন ব্যস্ত থাকত। বেশ কয়েক দিন এমন চলার পর সন্দেহ হয় তাঁর। গণেশ গোপনে স্ত্রীর ফোন কল ‘রেকর্ড’ করেন। আর তাতেই নাকি স্ত্রীর অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। তার পরই দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।
স্বামীর আরও অভিযোগ, পরকীয়া সম্পর্ক ধরা পড়ার পরেই তাঁর উপর অত্যাচার চালাতে থাকেন স্ত্রী। দাবি মোতাবেক, কিছু দিন আগে আমতলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে স্বামীকে ডেকে পাঠান স্ত্রী। সেখানেই নাকি প্রেমিককে ডেকে নিয়ে এসে স্বামীর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেন অভিযুক্ত। মাথা ফেটে যায় তাঁর। তাতে জ্ঞানও হারান তিনি। তার পরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না অভিযুক্ত স্ত্রী। তিনি গড়িয়া এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন।