নামখানায় উদ্ধার হওয়া ঘড়িয়াল। নিজস্ব চিত্র।
ফলতায় মগরের (মিষ্টি জলের কুমির) পর এ বার নামখানায় ঘড়িয়াল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের এলাকা থেকে উদ্ধার হল আরও একটি প্রজাতির কুমির। মঙ্গলবার দুপুরে নামখানার সাত মাইল বাজার সংলগ্ন রাজনগরের একটি ছোট খাল থেকে বন দফতরের কর্মীরা ঘড়িয়ালটিকে উদ্ধার করেন।গত বছর ফলতায় হুগলি নদী থেকে উদ্ধার হয়েছিল মগর। এ বার নামখানার খাল থেকে আরও একটি প্রজাতির মিষ্টি জলের কুমির উদ্ধারের ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকেরা। সুন্দরবনের নোনা জলে আগে কখনও ঘড়িয়াল ধরা পড়েনি বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। সাধারণ ভাবে বাদাবনের নদী-খাঁড়িতে থাকে নোনা জলের কুমিরেরা। প্রতি বছরই গ্রামের পুকুর বা খালে নোনা জলের কুমির ঢুকে পড়ার একাধিক ঘটনাও ঘটে। ভারতে মোট এই তিনটি প্রজাতির কুমিরই দেখা যায়।
বন দফতর জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সরীসৃপটি অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী ঘড়িয়াল। লম্বায় প্রায় সাত ফুট। মঙ্গলবার সকালে আচমকা স্থানীয় বাসিন্দারা ছোট খালে ঘড়িয়ালটিকে দেখতে পান। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বন দফতরের বকখালি রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘড়িয়ালটিকে দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় বাগে আনেন। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ভগবতপুর কুমির প্রকল্পে। সেখানেই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে সেটিকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল বলেন, ‘‘সুন্দরবনে এই প্রথম ঘড়িয়ালের দর্শন মিলল। এরা মাছের উপরেই নির্ভরশীল। কখনওই মানুষকে আক্রমণ করে না। মিষ্টি জলের এই প্রজাতির কুমির সুন্দরবনের নোনা জলে থাকতে পারে না। সম্ভবত হুগলি নদী থেকে ভেসে খালে ঢুকে পড়েছিল। এখন ঘড়িয়ালটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’’