মহম্মদ ইজরায়েল নামে নেতাকে রবিবার শাসনে দলে যুক্ত করল তৃণমূল। প্রতীকী ছবি।
একদা সিপিএমের কৃষকসভার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এলাকায় মজিদ মাস্টারের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিতি ছিল। মহম্মদ ইজরায়েল নামে সেই নেতাকে রবিবার শাসনে দলে যুক্ত করল তৃণমূল। যদিও সিপিএমের দাবি, ২০০৯ সালে একটি গুলি চলার ঘটনায় নাম জড়ানোর পরে তৃণমূল তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছিল। তার পর থেকে ইজরায়েলের সঙ্গে সিপিএমের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বারাসত দক্ষিণ (১)-এর সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ। রবিবার খড়িবাড়ি বাজারের কীর্তিপুর ১ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ইজরায়েলের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্থানীয় হাড়োয়া বিধানসভার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম।
শাসনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলে ইজরায়েলের যোগদানকে সাফল্য বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। ইজরায়েল সিপিএমের ৭০০ জন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে দলে যোগ দিয়েছেন বলেই তৃণমূলের দাবি। বিধায়ক নুরুল ইসলামের আরও দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে খড়িবাড়ি এলাকা বিরোধী-শূন্য হবে।
যদিও সিপিএম নেতা কুতুবউদ্দিন জানান, কীর্তিপুরে তাঁদের ৭০০ জন কর্মী-সমর্থক নেই। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালে ইজরায়েলের নাম গুলি-কাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ার পরে তৃণমূল নেতৃত্বই তাঁর গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তার পর থেকেই ইজরায়েলের সঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগাযোগ নেই। কুতুবুদ্দিন বলেন, ‘‘ইজরায়েল আমাদের কাছে এসেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিটের জন্য। আমরা রাজি না হওয়ায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’