কাশীপুর থানার সামনে ধর্নায় বৃদ্ধ দম্পতি। — নিজস্ব চিত্র।
এক দম্পতিকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন নিঃসন্তান বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় আট বছর। এখন বাড়ি ছাড়তে বলায় বেঁকে বসেছেন ওই দম্পতি। অভিযোগ, বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ি জবরদখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। বাড়ির অধিকার ফিরে পেতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে কাশীপুর থানার সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসেছেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি।
সমীর গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী কল্পনা গঙ্গোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই বসবাস করেন কাশীপুর এলাকায়। তাঁদের একটি টিনের চালাঘর রয়েছে। প্রায় আট বছর আগে সেই বাড়িতে নিজেদের ‘অসহায়’ বলে আশ্রয় নেন জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার মণ্ডল এবং তাঁর স্ত্রী কাকলি মণ্ডল। তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে। অভিযোগ, এত দিন ধরে নিঃসন্তান ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার বাড়ি জবরদখল করে রেখেছেন সুকুমার, কাকলি। একাধিক বার বিষয়টি কাশীপুর থানা, ভাঙড়-২ ব্লকের বিডিওকে জানানো হয় বলে দাবি সমীরদের। তার পরেও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। অবশেষে বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার থেকে কাশীপুর থানার সামনে ধর্নায় বসেছেন তাঁরা।
কাকলি পেশায় একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তাঁর স্বামী সুকুমার দিনমজুরের কাজ করেন। যদিও তাঁরা ওই অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আগেও একাধিক বার দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। বাড়ি মালিকের কথা মতো ওই দম্পতিকে বাড়ি ছাড়ার কথা বলা হয়েছিল। পুলিশকে সুকুমার জানিয়েছেন, অন্যত্র বাড়ি তৈরি করছেন তাঁরা। ফলে এখনই বাড়ি ছাড়তে পারবেন না।