এখান থেকেই পাওয়া যায় বাবুকে। —নিজস্ব চিত্র।
চোখে গভীর ক্ষত। চোখের পাতা কাটা। জিভেও ক্ষত। মুখে একাধিক আঘাতের দাগ।
সোমবার সকালে গাইঘাটা থানার সাহেব বাগান এলাকায় ঝোপ-জঙ্গলের ভিতর থেকে এমনই রক্তাক্ত অবস্থায় এক কিশোরকে উদ্ধার করল পুলিশ। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঠাকুরনগরে চাঁদপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাকে পাঠান বারাসত জেলা হাসপাতালে। সেখান থেকে পরে আবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছেলেটিকে পাঠানো হয় আরজিকর হাসপাতালে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর পনেরোর ওই কিশোরের নাম বাবু মণ্ডল। বাড়ি স্থানীয় ঢাকুরিয়া এলাকায়। বাবু মানসিক ভারসাম্যহীন। বাড়ি থেকে মাঝে মধ্যেই বাড়ি থেকে গায়েব হয়ে যেত। দু’এক দিন পরে নিজেই ফিরে আসত। তার মা সুশীলাদেবী জানিয়েছেন, শনিবার সকালে বাবু বাড়ি থেকে বের হয়। আর ফেরেনি। তার বাবা কার্তিক ভ্যান চালক। দুই ছেলে। বাবু বড়। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বাড়ির লোকজন।
এ দিন সকালে সাহেব বাগান এলাকায় খেলছিল কিছু ছেলে। জঙ্গলের ভিতর থেকে গোঙানির শব্দ শুনে তারা চিৎকার শুরু করে। এক মহিলা এগিয়ে আসেন। তিনিই দেখেন, ঝোপের আড়াল থেকে একটি পা বেরিয়ে আছে। আর একটু এগোলে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে কাতরাচ্ছে ছেলেটি। এরপরেই আশপাশের লোক জমে যায়। কিন্তু ছেলেটির মুখ এতটাই ক্ষতবিক্ষত ছিল, কেউ তাকে চিনতে পারেননি। পরে অবশ্য জানাজানি হয়। সে সময়ে নিজের শরীর খারাপ থাকায় হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বাবুর মা। খবর শুনে তিনি পথেই জ্ঞান হারান। পরে তিনি জানান, এক পরিচিতের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক গোলমাল আছে। ছেলের উপরে সে কারণে হামলা হয়ে থাকতে পারে। তবে এ নিয়ে থানায় কোনও অভিযোগ করেননি তিনি। তবে পুলিশ একটি মামলা করে ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।