ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪টি মোবাইল ফোন এবং ৫টি চোরাই মোটরবাইক। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুল-কলেজ ছাত্রী রাস্তায় হাঁটছেন। তাঁদের দেখে শিস দিয়ে গান, কটূক্তি করে উত্ত্যক্ত করত এক দল যুবক। কয়েক জন যখন তরুণীদের দেখে রাস্তায় এ ধরনের আচরণ করত, তখন আরও কয়েক জন মিলে ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ছিনিয়ে চম্পট দিত। গড়িয়া, মহামায়াতলা, রাজপুর, সোনারপুর, বারুইপুর— এই সমস্ত এলাকা জুড়ে এই ‘অপারেশন’ চালাত দলটি। অবশেষে তাদের ৬ জনকে গ্রেফতার করল বারুইপুর পুলিশ। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছিনতাইবাজদের ‘টার্গেট’ ছিলেন অল্পবয়সিরা। রাস্তায় কোনও তরুণী হাঁটছেন। আচমকা তাঁর গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পড়ত মোটরবাইক। অশালীন আচরণ করা হত ওই তরুণীর সঙ্গে। তিনি যখনই এর প্রতিবাদ করতে যেতেন, পিছন থেকে কেউ তরুণীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিস নিয়ে পালাত। এই ভাবে দিনের পর দিন ছিনতাইয়ের কাজ করত এক দল যুবক। ৷
বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ভোরে পোলঘাট অঞ্চলের একটি কারখানার সামনে থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাদের কাছ থেকে মোবাইল, মোটরবাইক ছাড়াও ছিনতাইয়ের সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে৷ মূলত চোরাই বাইক নিয়ে এরা বিভিন্ন অপারেশন করত৷ এলাকার বেশ কিছু চুরি এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এই দলকে চিহ্নিত করে পুলিশ৷’’
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম আসিফ খান, সাহিল মণ্ডল, বিলুয়ার হোসেন গাজি, সাগির গাজি, জাহাঙ্গীর গাজি এবং রূপ নস্কর। তাদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪টি মোবাইল ফোন এবং ৫টি চোরাই মোটরবাইক।