বিপত্তি: উল্টে পড়ে ট্রলার। নিজস্ব চিত্র
দেড় মাসে তিনবার। ফের সমুদ্রে গিয়ে বিপদে পড়লেন মৎস্যজীবীরা। বুধবারের ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ৪ জনের। নিখোঁজ ৫ জন।
জুন মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি কন্যামাতা’ নামের একটি ট্রলার ডুবে মৃত্যু হয় ১০ জনের। ১৬ জুলাই গভীর সমুদ্রে দুর্যোগে পড়ে নিখোঁজ হন ১৯ জন। পরে ১৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়। এখনও বাকিদের খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মঙ্গলবারের ঘটনায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বকখালির লুথিয়ান দ্বীপের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৎস্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতেরা হলেন ব্রজলাল দাস, শ্যামল সাউ, রাজু দাস ও অভিলাষ দাস। ট্রলারেতে ১৮ জন ছিলেন। ১০ জন সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। বুধবার সকাল থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং মৎস্যজীবীরা উদ্ধারের কাজ শুরু করেছেন। কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
মৎস্য দফতরের সামুদ্রিক বিভাগের সহকারী অধিকর্তা সুরজিৎ বাগ জানান, ১৬ জুলাইয়ের দুর্ঘটনার পরে আবহাওয়া দফতর থেকে নিয়মিত সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছিল। প্রায় দু’শোটি ট্রলার বন্দরে না ফিরে লুথিয়ান দ্বীপের কাছে নোঙর করে। মঙ্গলবারও সতর্কবার্তা ছিল। কিন্তু তা না মেনেই ‘এফবি পারমিতা’ নামের ট্রলারটি মাছ ধরতে সমুদ্রে যায়। ফেরার পথে দ্বীপের চরার কাছে ট্রলারটি উল্টে যায়। পুলিশ জানায়, ট্রলারটি বালিতে গেঁথে যাওয়ায় সোজা করা যায়নি। বালি খুঁড়ে ট্রলারের কেবিন থেকে দেহ বের করতে হয়েছে। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎসজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘‘সন্ধ্যার পরে ফেরার সময়ে ভাটার টানে উল্টে যায় ট্রলারটি।’’ পশ্চিমবঙ্গ সংগঠিত মৎস্যজীবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‘মাঝির কাছে জিপিএস যন্ত্র ছিল। ফলে জলের গভীরতা বোঝা উচিত ছিল।’’