Bhangar

Bhangar: ভাঙড়ে পুলিশ ও আইএসএফ-এর খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় আটক ২৪, এলাকা থমথমে

রবিবার ভাঙড় থানার নারায়ণপুরের পদ্মপুকুরে সভা ছিল ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির। ওই সভায় পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ আইএসএফ কর্মীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড়  শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২১ ১৮:২৯
Share:

ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।

শনিবার ও রবিবার দফায় দফায় পুলিশ ও এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর কর্মীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় ২৪ জনকে আটক করা হল। সোমবার নতুন করে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি না হলেও থমথমে রয়েছে এলাকা। ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।

রবিবার ভাঙড় থানার নারায়ণপুরের পদ্মপুকুরে সভা ছিল ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির। ওই সভায় পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ আইএসএফ কর্মীদের। ওই ঘটনা ঘিরেই খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশ ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে। পুলিশের বক্তব্য, সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও সভা হচ্ছিল। সেখানে পুলিশকে ইট ছোড়া হয় বলেই অভিযোগ। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।

Advertisement

সোমবারও ভাঙড়ের কাশীপুর থানার জয়পুরে আর একটি সভা করার কথা ছিল আব্বাসের। কিন্তু পুলিশ ওই সভারও অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেই সভা বাতিল করেছেন আব্বাস নিজেই।

খণ্ডযুদ্ধের ঘটনা প্রসঙ্গে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘পুলিশ ও গুন্ডাদের কাজে লাগিয়ে আমাদের আটকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। ওরা ভয় পেয়েছে। ওদের মানসিক ভারসাম্য ঠিক নেই। সেই জন্যই গুন্ডা দিয়ে সন্ত্রাস করে এলাকায় প্রভাব বাড়াতে চাইছে তৃণমূল।’’

Advertisement

তৃণমূলের ভাঙড়-১ ব্লক সভাপতি কাইজার আহমেদ বলেন, ‘‘সিপিএম, কংগ্রেস হোক কিংবা বিজেপি, যে কেউ ভাঙড়ে রাজনৈতিক প্রচারে আসতে পারে। কিন্তু আব্বাসরা ধর্মীয় সভাকে রাজনীতির আসর বানিয়ে ফেলছেন। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই ভাঙড়ে ধর্মীয় সভার মাধ্যমে মানুষকে ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে বিপথে চালিত করছেন ওঁরা। ওঁর (আব্বাস) প্ররোচনাতেই ভাঙড়ে সন্ত্রাস চলছে। এ রকম চলতে থাকলে তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না। ভাঙড়ের সাধারণ মানুষই এঁদেরকে আটকে দেবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement