পাকড়াও: ধরা পড়েছে এরাই। নিজস্ব চিত্র
সুন্দরবনের নদীপথে ডাকাতির জন্য জড়ো হওয়া জলদস্যুদের তাড়া করে দু’জনকে গ্রেফতার করল সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। বনদফতর ও বিএসএফের সঙ্গে যৌথ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুষ্কৃতীদের ধরা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দু’রাউন্ড গুলি।
শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীর দ্বীপের খাল এলাকায়। সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ সূত্র মারফত খবর পায়, সুন্দরবনের হরিখালি বিট অফিস এলাকায় রায়মঙ্গল নদীতে ডাকাতির জন্য কিছু দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছে। সেই মতো পেয়ে বিএসএফ ও বন দফতরকে সঙ্গে নিয়ে রাত ১০টা নাগাদ অভিযান চালায় পুলিশ।
সন্দেহভাজন একটি ভুটভুটি দেখে সেটির দিকে এগোতেই পুলিশের লঞ্চ লক্ষ্য করে জলদস্যুরা গুলি চালাতে থাকে। পুলিশকর্মীরা ভুটভুটিকে তাড়া করেন। কাছাকাছি পৌঁছতেই ভুটভুটি ফেলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তাড়া করে পলাশ মণ্ডল ও সুব্রত মণ্ডল নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’জনেই সুন্দরবন কোস্টাল থানা এলাকার বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েকজন বাংলাদেশি জলদস্যুকে নিয়ে নদীপথে ডাকাতির ছক কষেছিল তারা। ভুটভুটিটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করলেও সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময়ে প্রবল স্রোতের মধ্যে সেটি নদীতে ডুবে যায়। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘পুলিশ কর্মীরা গোপন সূত্রে জলদস্যুদের জমায়েতের খবর জানতে পারে। অভিযান চালানো হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’