টিফিনের মুড়ি মমতাকে দিয়ে ধন্য দেবাশিস। নিজস্ব চিত্র।
২১ জুলাইয়ের জনসভায় যোগ দিতে সুদূর পূর্ব বর্ধমানের আইশগ্রামের তেলোতা গ্রাম থেকে কলকাতা ছুটে এসেছিলেন দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। এতটা পথ, রাস্তায় খিদে পেলে কিছু খেতে তো হবে! তাই বাড়ি থেকে থলেতে বেঁধে নিয়ে গিয়েছিলেন মুড়ি। সেই মুড়ি যে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোঁয়া পাবে, তা ছিল কল্পনার অতীত! বৃহস্পতিবার সভা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু এখনও ঘোর কাটছে না তাঁর। জানালেন, এই মুড়ি তাঁর কাছে প্রসাদ-সমান।
২১ জুলাইয়ের সভায় আসতে দেবাশিসের গ্রামের ৩০ জনের একটি দল রওনা দিয়েছিলেন কলকাতা। তাঁরা এসে বসেছিলেন সভামঞ্চের সামনের দিকেই। মঞ্চে উঠেছেন মমতা। তাঁর দিকে অপলকে তাকিয়ে দেবাশিস। দ্রব্যমূল্য নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করতে করতে বক্তব্যের মাঝেই কর্মী-সমর্থকদের কাছে মুড়ি চান তৃণমূল নেত্রী। তখন এ ওর মুখের দিকে তাকাচ্ছেন। ঝট করে সঙ্গে আনা মুড়ির থলেটি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে বাড়িয়ে দেন দেবাশিস।
ওই মুড়ি নিয়েই মমতা কটাক্ষ করেন কেন্দ্রের জিএসটি নীতির। তার পর দেবাশিসকে মুড়ি ফিরিয়েও দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু জলখাবারে তাঁর নেত্রীর ছোঁয়া পড়ায় নিজেকে ধন্য মনে করছেন আউশগ্রামের এই যুব তৃণমূলকর্মী। তাই টিফিন থেকে কিছু মুড়ি বাঁচিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন তিনি।
দেবাশিসের কথায়, ‘‘আমরা টিফিন করার জন্য ওই মুড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু দিদি আমাদের কাছে মুড়ি চাইবেন, এটা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। দিদির হাতের ছোঁয়া লেগে থাকা এই মুড়ি আমাদের কাছে প্রসাদ। এই প্রসাদ বাড়ির সবাইকে দেব।’’
সমাবেশ শেষে দেবাশিস ও তাঁর সঙ্গীরা হাওড়া থেকে বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে বাড়ি ফেরেন। গুসকরা স্টেশনে নামতেই তাঁদের ঘিরে উল্লাসে মাতেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রীকে মুড়ি দিয়ে কেমন যেন খ্যাতনামী হয়ে উঠেছেন দেবাশিসরা।