শুভেন্দুর দাবি, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে এই কাজ করা হয়েছে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কি ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের সরাসরি সম্প্রচার দেখলেন? বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় তৃণমূলের ‘শহিদ স্মরণ’ কর্মসূচির পর ছড়িয়ে পড়া একটি ছবি ঘিরে ওই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরে তা নিয়ে খোঁচাও দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শুভেন্দুর দাবি, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে এই কাজ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে শাসক এবং বিরোধী শিবিরে শোরগোল পড়েছে বৈকি!
বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল তৃণমূলের ‘অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ’ থেকে। ওই সম্প্রচারের একটি স্ক্রিনশট পরে ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে। সেই ছবিতে দেখা যায়, দর্শক তালিকায় রয়েছে ‘শুভেন্দু অধিকারী’র ফেসবুক পেজ। ‘ব্লু টিক’ অ্যাকাউন্টে দেওয়া ছবিটিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুরই। স্ক্রিনশটটির সত্যতা অবশ্য আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। তবে তৃণমূলের তরুণ মুখপাত্র সুপ্রিয় চন্দ ওই স্ক্রিনশটটি নেটমাধ্যমে শেয়ার করেন। ক্রমশ সেটি শাসক শিবিরেরও বিভিন্ন নেতার কাছে পৌঁছয়। সম্ভবত একই ভাবে সেটি পৌঁছয় অভিষেকের কাছেও। বিকেলে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ওই ছবিটির প্রসঙ্গ টেনে আনেন অভিষেক।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বিশাল সমাবেশের পর বিরোধী বিজেপির তরফে প্রচার শুরু হয়— ২০০৯ সালে বিশাল ব্রিগেড সমাবেশ করেও ২০১১ সালে যে ভাবে বাম সরকারের পতন হয়েছিল, সে ভাবে বৃহস্পতিবার বিশাল সমাবেশ করেও বাংলার বর্তমান তৃণমূল সরকারেরও পতন হবে আগামী দিনে। বামেদের সেই ব্রিগেড সমাবেশের একটি ছবিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। বিকেলের সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেককে তা নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে তিনি শুধু বলেন, ‘‘আমি তো দেখলাম, শুভেন্দু অধিকারীও ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ দেখছিলেন!’’ এর বেশি অবশ্য তিনি ওই বিষয়ে কিছু বলেননি। পরে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে এই কাজ করা হয়েছে।’’
বিরোধী দলনেতার দফতরে যোগাযোগ করা হলে তারা বলে, এর পিছনে তৃণমূল কর্মীরাই রয়েছেন। ওই দফতর সূত্রে আরও দাবি করা হয়, ওই স্ক্রিনশটের ছবিটি ‘বানানো’। যে তৃণমূল মুখপাত্রের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে, সেই সুপ্রিয়র বক্তব্য, “চ্যালেঞ্জ করছি, শুভেন্দুবাবু প্রমাণ করে দেখান এটা বানানো হয়েছে বা এটা ফেক অ্যাকাউন্ট!”