এমন দৃশ্য বারে বারেই দেখা গিয়েছে তৃণমূলের ২১ জুলাই সমাবেশে। ফাইল চিত্র।
ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও বৃহস্পতিবার কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই মধ্য কলকাতায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের মেগা সমাবেশ। দু’বছর পর যে সভা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ফলে সেখানে রেকর্ড ভিড় হওয়ার কথা। দু’বছর পর ধর্মতলার সমাবেশ থেকে দলকে বার্তা দেবেন সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত রয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। সে কারণেই আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির এই পূর্বাভাস। বুধবার মৌসুমি অক্ষরেখা ধানবাদ থেকে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বসিরহাট হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যে কারণে শুক্রবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশের দিন বৃষ্টি প্রায় বাধ্যতামূলক। ওই সমাবেশের একপ্রকার ‘অঙ্গ’ হল বৃষ্টি। প্রায় প্রতি বছরই বৃষ্টি হয় সভা শুরুর আগে এবং পরে। ২০১৮ সালেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির মধ্যে সভা হয়েছিল। তবে ২০১৯-এ ২১ জুলাইয়ের শেষ সভায় বৃষ্টি হয়নি। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতে ‘মহাকরণ অভিযান’-এর আহ্বান করেছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা। সেই অভিযানে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। সেই থেকেই ২১ জুলাই দিনটিকে ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে তৃণমূল। রাজ্যে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পরেও তার অন্যথা হয়নি।
সাধারণত ধর্মতলার মোড়ের অদূরে মঞ্চ বেঁধে ওই সমাবেশ হয়। অভিজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯৯৪ সালে ওই সমাবেশ হয়েছিল এসপ্ল্যানেড ইস্টে। আর ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ওই সমাবেশ হয়েছিল ব্রিগেডে। ঘটনাচক্রে, সেদিনও তুমুল বৃষ্টি হয়েছিল। তবে মমতা সর্বদাই ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে বর্ষণকে ‘শুভ’ বলে মনে করেছেন। ফলে বৃহস্পতিবার সমাবেশের সময় বা তার আগে-পরে বৃষ্টি হলেও কর্মী-সমর্থকদের আবেগ, উচ্ছ্বাস এবং উন্মাদনায় কোনও খামতি দেখা যাবে না।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা পরিবর্তনেরও কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্য দিকে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বুধবার থেকেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।