—ফাইল চিত্র
আজ, সোমবার থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনে শহরতলির লোকাল ট্রেনের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ছে। শিয়ালদহ উত্তর এবং দক্ষিণ শাখায় দৈনিক লোকাল ট্রেন ৬৫৪টি থেকে বেড়ে ৮৬০টি হতে চলেছে। অর্থাৎ বাড়ছে ২০৬টি ট্রেন। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রাক্-করোনা পরিস্থিতিতে দৈনিক যত ট্রেন চলত, এই প্রথম সেই সংখ্যায় তা ফিরছে। একই সঙ্গে চালু হচ্ছে মহিলা স্পেশ্যাল ট্রেনও।
গত ১১ নভেম্বর লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পরে অবশেষে পুরনো চেহারায় ফিরছে পরিষেবা। রেল সূত্রের খবর, গত এক মাসে লোকাল ট্রেন চলা শুরু হলেও সংক্রমণ ব্যাপক আকার নেয়নি। বরং সারা দেশের সঙ্গে তাল রেখে এ রাজ্যেও সংক্রমিতের সংখ্যা কমছে। ফলে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী হয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
গত ১১ নভেম্বর দৈনিক তিনশোর কিছু বেশি ট্রেন চালিয়ে পরিষেবা শুরু হয়েছিল। পরে ব্যস্ত সময়ে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্রেনের সংখ্যা ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সকালের ব্যস্ত সময়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করা হয়। তবে দুপুর এবং রাতে ট্রেন কম চলছিল। আজ থেকে ওই সময়েও প্রাক্ করোনা সময়সূচি ফিরে আসবে বলে জানাচ্ছেন রেলের কর্তারা। নতুন সূচিতে শিয়ালদহ থেকে উত্তরের ব্যারাকপুর, নৈহাটি, ব্যান্ডেল, বারাসত, হাসনাবাদ, বসিরহাট, রানাঘাট, বনগাঁ, লালগোলা-সহ সব শাখায় ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে। মূলত দুপুর, বিকেল এবং রাতে যে সব ট্রেন চলছিল না, তা আবার ফেরত আসছে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বালিগঞ্জ, সোনারপুর, বারুইপুর, ক্যানিং, বজবজ, ডায়মন্ড হারবার-সহ সব শাখায় ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে বলে খবর। এ ছাড়াও ১২টি মহিলা স্পেশ্যাল ট্রেনও ফিরছে তাদের পুরনো সময়ে।
আরও পড়ুন: ‘ফ্যাক্ট চেক’ প্রকাশ করে টুইটারে অমিত শাহকে বিঁধলেন ডেরেক
দীর্ঘ লকডাউনে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। স্কুল-কলেজ বন্ধ। প্রবীণ নাগরিকদের একাংশ নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া এখনও লোকাল ট্রেনে যাতায়াত এড়িয়ে চলছেন। ফলে প্রাক্-করোনা পরিস্থিতির তুলনায় লোকালে যাত্রীর সংখ্যা এখনও খানিকটা কম। রেল সূত্রের খবর, শীতের মরসুমে প্রতি বছর উৎসব ও অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের ট্রেনে যাতায়াতের প্রবণতা বাড়ে। তাই ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষশেষ ও বর্ষবরণের উৎসবের জন্য বাড়তি ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করতে হয় রেলকে। চলতি বছরে অতিমারির প্রভাবে উৎসব কাটছাঁট করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঠিকই। তবু যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়বে বলেই মনে করছেন কর্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলার মানুষই দিদিকে হারাবে, ভূমিপুত্রই হবেন মুখ্যমন্ত্রী: অমিত
এ দিকে, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কাজের পরিসরও ধীরে ধীরে বাড়ছে। সেই সব দিক বিচার করেই এক লাফে দিনে দুশোর কিছু বেশি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বছরের ভিন্ন পরিস্থিতিতে এক ধাক্কায় এত ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোকে যাত্রী পরিবহণে দীর্ঘ ক্ষতির ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা বলে মানছেন রেলের আধিকারিকদের একটি অংশ। আর এ জন্য বুঝেশুনেই নির্বাচন করা হয়েছে উৎসবের এই মরসুমকে। রেলের এক কর্তা বলেন, “কাজকর্ম আগের চেহারায় ফিরছে। যাতায়াতের চাহিদা বাড়ছে। এই মুহূর্তে লোকাল ট্রেন বাড়ালে সুবিধা হবে সকলেরই।”