প্রতীকী চিত্র-পিটিআই
করোনার মোকাবিলায় উত্তর ২৪ পরগনায় ২০০টির মতো কোয়রান্টিন সেন্টার বা নিভৃতবাস কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে বলে শুক্রবার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানান হয়েছে। এর মধ্যে বিধাননগর, বারাসত, ব্যারাকপুর, বসিরহাট এবং বনগাঁর প্রতিটি পুরসভা ও ব্লকে কমপক্ষে ১টি করে নিভৃতবাস কেন্দ্র করা হচ্ছে বলে এ দিন জানান জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনেই তৈরি হয়েছে শয্যা এবং অন্যান্য ব্যবস্থা। করোনার চিকিৎসায় সেখানে রয়েছে আধুনিক সরঞ্জামও। কোথাও পুরনো সরকারি ভবন, কোথাও স্কুল বাছাই করে তৈরি হচ্ছে এই নিভৃতবাস কেন্দ্র। জেলাশাসক বলেন, ‘‘প্রয়োজন পড়লে বাড়ানো হবে সেন্টারের সংখ্যা।’’
বিধাননগর মহকুমার নিউটাউনে চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল ছাড়াও এনবিসিসির কাছে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে বলে এ দিন জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এর পাশাপাশি ওই এলাকারই হজ হাউসে নিভৃতবাসে রয়েছেন দিল্লির নিজামউদ্দিনে তবলিগ সমাবেশ থেকে ফেরা ৫৪ জন। এ ছাড়াও বারাসতের কাছে কদম্বগাছিতে জিএনআরসি হাসপাতাল এবং ব্যারাকপুরের টেকনো গ্লোবাল হাসপাতালেও করা হচ্ছে চিকিৎসার ব্যবস্থা। করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের জন্য প্রতিটি মহকুমার পুরসভা ও ব্লকগুলিতে কমপক্ষে একটি করে নিভৃতবাস কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানেই রোগীদের রেখে চিকিৎসা করা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
দফতর সূত্রে শুক্রবার জানান হয়েছে, সরকারি পরিসংখ্যান মতে এখনও পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি নিভৃতবাস কেন্দ্রে ১০০টির কাছাকাছি শয্যার আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় প্রয়োজনে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হবে।
এ দিন বারাসত হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘সঙ্কটজনক রোগীদের সমস্ত রকম চিকিৎসাও করা হচ্ছে।’’