শনিবার ভরসন্ধ্যায় শিবদাসপুর এলাকায় বোমাবাজি এবং গুলিচালনায় খুন হন এক তৃণমূলকর্মী। প্রতীকী ছবি।
নৈহাটির শিবদাসপুরে তৃণমূলকর্মী খুন এবং বোমাবাজির ঘটনায় আরও ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ব্যারাকপুর কমিশনারেট। মঙ্গলবার আমডাঙা থানা এলাকা থেকে ধৃতদের পাকড়াও করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় সব মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা হল তাপস দে এবং কাজি হাসিবুল হাসান। দু’জনই নাবালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে তাপসের বয়স ষোলো বছর এবং কাজি আঠারো বছর বয়সি।
উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির গুলি-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার মহম্মদ আসিবুর রহমান ওরফে বাচ্চা এবং ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দু’জনই আঠারো বছরের বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁদের মধ্যে আসিবুরের বাড়ি শিবদাসপুরের কন্দপুকুর গ্রামে। অন্য দিকে, আমডাঙার শিকারিরা গ্রামে থাকেন ফারুক। এই দু’জনের কাছে থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সোমবার আরও তিন জনকে ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভরসন্ধ্যায় নৈহাটির শিবদাসপুর এলাকায় বোমাবাজি এবং গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, জনা ছয়েক দুষ্কৃতী মোটরবাইকে চড়ে বোমাবাজি করেন। সেই সঙ্গে গুলিও চালাতে থাকেন তাঁরা। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূলকর্মী জাকির হোসেন। বোমার ঘায়ে আহত হন আরও দু’জন। পরে জাকিরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যান তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ।
নৈহাটিকাণ্ডের পিছনে গ্রাম্য বিবাদ জেরেই নৈহাটিতে গুলিচালনা এবং বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। যদিও আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।