কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মোর্চা কাউন্সিলররা। শনিবার দিল্লিতে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটির পরে এ বারে দার্জিলিং পুরসভা। আজ দিল্লিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজু বিস্তা ও মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে দার্জিলিং পুরসভার ১৭ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিলেন। ৩২ আসনের পুরসভায় এক জন ইস্তফা দিয়েছেন, এক জন মারা গিয়েছেন। ফলে এখন পুরসভার সদস্য সংখ্যা ৩০। ১৭ জন দলবদল করায় পুরসভা চলে এল বিজেপির হাতে। মিরিকের পরে পাহাড়ের দার্জিলিং দ্বিতীয় পুরসভা, যেখানে ক্ষমতার দখল নিল সমতলের দল।
যদিও বিমল গুরুংপন্থী মোর্চার কার্যকারী সভাপতি লোপসাং লামা বলেছেন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে আমাদের জোট আছে। আমরা মিলেমিশেই পুরসভা পরিচালনা করব।’’ কাউন্সিলরদের দলবদলে তাঁদের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই দাবি বিনয় তামাংয়ের। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি ভোটে জেতার পর থেকেই শান্ত পাহাড়কে অশান্ত করতে চাইছে। ভয় দেখিয়ে অনেক কাউন্সিলরকে দল বদলে বাধ্য করেছে।’’ পাহাড় তৃণমূলের সভাপতি এলবি রাই বলেন, ‘‘টাকার জোরে বিজেপি ভোটে জিতেছে। কিছু কাউন্সিলরকে ভয় দেখিয়ে, কয়েক জনকে লোভ দেখিয়ে দলে নিয়েছে।’’
গত মাসে তৃণমূলের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়ের হাত ধরে। এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপিতে প্রবল অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি সঙ্ঘ নেতৃত্ব। ফলে মুকুলের দাবি সত্ত্বেও বেশ কিছু তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগদান আটকে যায়। জট কাটাতে গত কাল নাগপুর যান মুকুল। তাঁর অবশ্য দাবি, সঙ্ঘ পরিবারের নেতা প্রদীপ জোশীর মায়ের মৃত্যু হওয়ায় তিনি নাগপুরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। যদিও বিজেপি সূত্রের খবর, নাগপুরে সঙ্ঘ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলার পরিস্থিতি তুলে ধরেন মুকুল। বোঝান, কেন তৃণমূল-সহ অন্য দলের নেতারা বিজেপিতে যোগদান করতে আগ্রহী। বিজেপি সূত্রের মতে, তার পরেই আজকের যোগদানে সম্মতি আসে। আজ মুকুল দাবি করেছেন, ‘‘দার্জিলিঙে রাজ্য প্রশাসনের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে পাহাড়ে খুব দ্রুত শোভাযাত্রা করবে বিজেপি। যেখানে রাজ্য নেতারা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।