—নিজস্ব চিত্র।
বানতলা চর্মনগরী পেতে চলেছে ১৬৩টি নতুন লেদার কোম্পানি। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই তাদের দেওয়া হবে জমি। রবিবার সেই সব জমি ঘুরে দেখে এ কথা জানালেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি জানান, নতুন সংস্থাগুলিকে চর্মনগরীর ভিতরেই জমি দেওয়া হবে।
রবিবার বানতলায় যান শওকত ও রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান-সহ প্রশাসনিক আধিকাকিরেরা। শওকত জানান, এ বার থেকে লেদার কমপ্লেক্স এলাকায় উন্নয়নের সার্বিক দিকটি দেখবে কেএম়ডিএ। সেক্টর সিক্সের মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ হবে। নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি জলনিকাশি ব্যবস্থা, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল, ক্যান্টিন, ওয়াচ টাওয়ার-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হবে এলাকায়। তাড়াতাড়িই শুরু হবে সেই সব কাজ। আর এলাকার যাঁদের জমি নেওয়া হয়েছে, তাঁদেরও যাতে শীঘ্রই পুনর্বাসন দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বাম আমলে বানতলা চর্মনগরীর পরিকল্পনা হলেও পরে নানা জটে তার গতি কিছুটা থমকেছিল। রাজ্যে পালাবদলের পরে তৃণমূল সরকার সেই সব জট ছাড়িয়ে ভিন্ রাজ্য থেকেও বিপুল লগ্নি প্রস্তাব আসার দাবি করে। সম্প্রতি ওরিয়েন্টাল চেম্বারের সভায় রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, নতুন লগ্নিকারীরা প্রস্তাব দিলেও ইতিমধ্যেই প্রকল্পে এলাকাটি ভরে গিয়েছে। সে কারণে চর্মনগরী প্রকল্পটির সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই এলাকায় চর্মশিল্পের একটি রফতানি কেন্দ্রও গড়তে চান।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গত মাসেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বানতলা চর্মনগরীর ব্যবসায়ীরা। সেই বৈঠক শেষে রাজ্য সরকারের তরফে চর্মনগরীতে নতুন করে আরও ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আলাপন বলেছিলেন, ‘‘১১৫০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা লেদার কমপ্লেক্সে ৫০০টি ট্যানারি, লেদার গুডস ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট হিসাবে কাজ করছে। ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই কর্মসংস্থান হয়েছে পাঁচ লক্ষ মানুষের, আরও ১৮৭টি ট্যানারি ১৩৯টি ফুটঅয়্যার ইউনিট এখানে আসছে। আরও ১৮৭টি ট্যানারি, ১৩৯টি ফুটঅয়্যার ইউনিট ওখানে আসছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এর ফলে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এই বিনিয়োগের ফলে আরও আড়াই লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এর ফলে কর্মসংস্থান হচ্ছে মোট সাড়ে সাত লক্ষ মানুষের।’’